অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের উস্কানি সৃষ্টি করলে তার পরিণতি ভালো হবে না। মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রিগা শহরে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি। অপরদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রকে রেডলাইন ক্রস করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা উপস্থিতি জোরদার করছে বলেও এই সম্মেলনে দাবি করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চালালে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে। সম্মেলনে ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গও ইউক্রেনে যেকোনো সংঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি আরেকবার একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করে তাহলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র বারবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ তুলছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ দূত আনাতোলি অ্যান্টোনভ গত শনিবার জানিয়েছেন, তার দেশ ইউক্রেন সীমান্তে কোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে না। বরঞ্চ পশ্চিমা দেশগুলো তাদের উস্কানিমূলক পদক্ষেপগুলোকে বৈধতা দেয়ার জন্যই এ ধরনের অভিযোগ করছে।
এদিকে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তারা যেন কেউ রাশিয়ার রেড লাইন ক্রস না করে। মঙ্গলবার রাজধানী মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে ন্যাটো সামরিক জোট যে সেনা উপস্থিতি জোরদার করছে সেটি রাশিয়ার জন্য রেড লাইন। আমি আশা করি তারা কেউ এই রেড লাইন ক্রস করবে না। এরপরই তিনি যুক্ত করেন, ন্যাটো ইউক্রেনে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে, যা সাত থেকে ১০ মিনিটের ভিতরে মস্কোয় আঘাত হানতে সক্ষম। আর যদি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হয় তাহলে ৫ মিনিটের ভিতরে মস্কোয় পৌঁছে যাবে। বিষয়টি কল্পনা করে দেখুন! পরিস্থিতি যদি এমন হয় তাহলে আমাদের কি করণীয় আছে? তাদের বিরুদ্ধেও এখন আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।