অনলাইন ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তিনি প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত।গতকাল সোমবার প্যারিসে ইউরোপের নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে বসার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এ কথা জানান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে’ এক নিবন্ধে কিয়ার স্টারমার লিখেছেন, তিনি ব্রিটিশ সেনা ও নারীদের ‘ক্ষতির মুখে’ ফেলার সিদ্ধান্তটি হালকাভাবে নেননি। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। ।

লেবার পার্টির নেতা স্টারমার আরও লিখেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ যখন শেষ হবে, সেটা শুধু পুতিন পুনরায় আক্রমণ করার আগ পর্যন্ত একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলে হবে না।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোনো শান্তি চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ব্রিটেন সহায়তা করতে রাজি আছে। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত তারা।

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার প্যারিসে একটি সম্মেলনে বসেছেন ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের নেতাদের সঙ্গে প্যারিসের বৈঠকে যোগ দেন স্টারমার। ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সতর্ক বাণী দিয়ে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত নিজেদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো উদ্যোগ নেওয়া।

এরপর আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে সেটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় রাশিয়া। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশটিতে পূর্ণমাত্রায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ বাহিনী। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ প্রথমবারের মতো অবসানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণ করার এক মাসের মধ্যে সৌদি আরবে ওয়াশিংটন-মস্কো বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।