অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়েনের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (৯ মাসে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সারাবিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের ওই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে। ২৯ দশকি ৩৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে চীন ইইউতে বড় পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানিও ৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যাতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ ২৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পোশাক রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যখন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল সেই সময়টাতে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে অনেক এগিয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধি অনুসারে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে। অঙ্কের ভ্যালুতেও সেটি কম না। ইউরোপে বাংলাদেশ বরাবরই ভাল। সেখানে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা রয়েছে। আমাদের সতর্কভাবে সামনের পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।