অনলাইন ডেস্ক : ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পথে ফরাসি উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন শিশু এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
ফরাসি কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় ৫০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কর্মকর্তারা বলছেন, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। তাছাড়া বেশিরভাগ যাত্রীর লাইফজ্যাকেট ছিল না। এই বিপর্যয়টি এই বছরের চ্যানেলে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণহানির ঘটনা। একজন সিরিয়ান পাচারকারী এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রসিকিউটর গুইরেক লে ব্রাস বলেন, নিহতরা ইরিত্রিয়ান বংশোদ্ভূত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও কর্মকর্তারা এখনও ‘সঠিক জাতীয়তা নির্দিষ্ট করতে পারেনি।’
প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সামুদ্রিক পথ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কেউ কেউ সফল হন। তবে অনেকেই মুখোমুখি হন ভয়াবহ বিপদের।
ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ঠেকাতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সরকার সবসময়ই সচেষ্ট থাকলেও এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা থামানো যাচ্ছে না। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহেই দুই হাজার মানুষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।
ইংলিশ চ্যানেল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্রপথ যেখানে ঢেউ অত্যন্ত শক্তিশালী। এ ধরনের পথ ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া খুবই বিপজ্জনক।
মঙ্গলবারের ঘটনার আগে ৩০ জন ইতোমধ্যেই চলতি বছর চ্যানেল অতিক্রম করতে গিয়ে মারা গেছেন, যা ২০২১ সালের পর যেকোনো বছরের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যা।