স্পোর্টস ডেস্ক : গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার ক্ষত নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। আর আফগানিস্তানকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ক্ষত থেকেই যেন জ্বলে উঠলো ইংলিশরা। আর তাতে পুড়লো টাইগাররা। আগে ব্যাট করে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৩৭ রানের জয়ে ঘুরে দাঁড়ালো জস বাটলাররা।
যে ধর্মশালায় দুই দিন আগেও ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশ। সেখানে আজ একেবারেই বিবর্ণ। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে হয়তো ভুলই করেছিলেন টাইগার সেনাপতি সাকিব। এই ভুলের খেসারত আজ পারফর্ম দিয়েও দিতে পারেননি। ব্যাটে-বলে আজ দেখা যায়নি চেনা সাকিবকে।
যে মাঠে সাকিব-মিরাজদের বল বারবার সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেছে ইংলিশ বোলাররা, সেই মাঠেই রান করতে গিয়ে নাকানি-চুবানি খেয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। রিস টোপলে ও ক্রিস ওকসদের গতিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন।
এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশি বোলাররা শুরুতে উইকেট না পেলেও শেষদিকে বারবার আঘাত হেনে ৯টি উইকেট শিকার করে। শেখ মেহেদী ৪টি ও শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন। সাকিব ও তাসকিন শিকার করেন একটি করে।
ইংলিশদের হয়ে এদিন গ্রাহাম গুচকে ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন জো রুট। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের ফিফটির মাঝে ডেভিড মালান ঝড়ো সেঞ্চুরি করেন। এদিন দুটি শতক পেরোনো জুটি পায় ইংল্যান্ড। ১১৫ রানের ওপেনিং জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটে এসেছে ১৫১ রানের জুটি। মালান ১০৭ বলে করেন ১৪০ রান, ৬৮ বলে ৮২ রান করেন জো রুট, বেয়ারস্টো করেন ৫২ রান।
এই পিচে বাংলাদেশের সবাই ব্যর্থ হলেও লিটন দাস ও মুশফিকুরর রহিম দেখিয়েছেন, ধৈর্য্য ধরে দেখেশুনে খেললে রান করা সম্ভব। তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, সাকিব, মিরাজ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে দলকে বিপদে ফেলেন। আর লিটন ৭৬, মুশফিক ৫১ ও তাওহীদ হৃদয় ৩৯ রান করে হারের ব্যবধান কমান।
রিস টোপলে ৪৩ রান খরচায় ৪টি, ক্রিস ওকস ৪৯ রানে ২টি এবং স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ ও মার্ক উড একটি করে উইকেট নেন। ১০৭ বলে ১৪০ রানের ঝড় তোলা ডেভিড মালান ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন।