হাসান আমিন : টরন্টোর একজন উদ্যোক্তা ব্যক্তিগতভাবে শরণার্থীদের জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার দান করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে যেসব শরনার্থী ডাউনটাউন টরন্টোতে তাঁবু গেঁড়ে বাস করেছ তাদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্যারামাউন্ট ফাইন ফুডের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ফাকিহ।
তিনি বলেন, তাদের অর্থের চাহিদা নেই, তাদের দরকার অন্য সহায়তা। এই মানুষগুলো ঠিক আমার মতোই, যখন আমি প্রথম এখানে এসেছিলাম তখন আমারও এমন দিন দেখতে হয়েছিল। তাদের জন্য আমাদের এগিয়ে আসা উচিত এবং দেখিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, আমরাও ভালো কিছু করতে পারি।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা এই শরনার্থীদের বসবাসের জন্য একটা জায়গা খুঁজছেন। জায়গাটি পাওয়া গেলে ব্যক্তিগতভাবে তিনি বিল পরিশোধ করে দেবেন।
এই ইস্যুতে সব স্তরের সরকারের প্রতি দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফাকিহ। সেই সঙ্গে একে সঙ্কট হিসেবে আখ্যায়িত করে অন্যান্য নাগরিকদেরকেও তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের কাজ। এটা কানাডিয়ান স্বপ্ন।
তার এই সহায়তার উদ্দেশ্য সিটি ও ফেডারেল সরকারের মধ্যকার অচলাবস্থার ফলে সৃষ্ট ব্যবধান ঘোচানো। এই দুই পক্ষের মাঝখানে পড়ে বিপত্তিতে আছে অসংখ্য শরনার্থী।
সিটি কর্তৃপক্ষ গত জুনে শরনার্থীদের ফেডারেল কর্মসূচিতে পাঠানো শুরু করার পর থেকে ৩০ জনের মতো শরনার্থী কয়েক সপ্তাহ ধরে পিটার স্ট্রিটে শেল্টার ইনটেক সেন্টারের বাইরে রাত্রি যাপন করছেন। অতিরিক্ত শেল্টার খোলা হবে এই আশায় তারা ইনটেক সেন্টারের বাইরে তাঁবু গাড়লেও কাজ হয়েছে খুব সামান্যই।
ফাকিহ বলেন, রাস্তায় বসেই তাদের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন কাটছে এবং তারা আদৌ নিরাপদ নয়। সিটি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে শরনার্থীদের আশ্রয়নের জন্য টরন্টো কোনো তহবিল পায়নি। গত বছর ফেডারেল সরকার টরন্টোর আশ্রয়ণ ব্যবস্থায় ঠাই পাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের সব খরচ বহনে তহবিল জোগান দিয়েছিল।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় শরনার্থীর সংখ্যা ৪৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব স্তরের সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বৈঠককে ফলপ্রসূ দাবি করে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সব পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হজয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : সিটিভি নিউজ