কবি আলমগীর খান একজন স্বাপ্নিক মানুষ যিনি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর সমাজ, দেশ আর পৃথিবীর। তাঁর এই স্বপ্নে তিনি সব সময় মানুষকে দেখতে চান এমন এক সত্ত্বা হিসেবে যা অবলীলায় জেগে থাকবে সমাজ, দেশ আর পৃথিবীর যে কোন অনাচার, অবিচার আর অব্যবস্থার বিরুদ্ধে। আলমগীর খান তাঁর কবিতায় আমাদের জীবনের কথা বলে যান সাবলীল কাব্যিকভাবে আর আমাদের বারে বারে দাঁড় করিয়ে দেন আমাদের জীবনের স্বচ্ছ-রুঢ় আয়নার সামনে। তাঁর এই দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা সংবেদনশীল পাঠককে গভীরভাবে ভাবতে শেখায় আমাদের জীবন আর আমাদের জীবন সংগ্রামের কথা নিয়ে। তিনি তাঁর কবিতায় এক অদম্য জীবনের গান গেয়ে চলেন জীবনের প্রতি বাঁকে বাঁকে। কবি আলমগীর খানের কবিতার সরল শব্দের মধ্যে প্রথিত রয়েছে এক বলিষ্ঠ জীবনবোধের ক্যানভাস যা এক সুন্দর ঝিনুক ভোরের আলো এনে দেয় আমাদের সবার মানসপটে।
মনিস রফিক
আলমগীর খান ১৯৬৭ সালের ২৭ জুলাই পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে চট্টগ্রামে। প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। অনেকদিন পত্রপত্রিকায় গল্প, কবিতা, নাটক, বই-আলোচনা ইত্যাদি লিখেছেন। আবৃত্তি ও নাটকের ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। শিক্ষা ও বিভিন্ন সামজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। দেশের তরুণ সমাজে সততা ও নৈতিকতা চর্চা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। শিক্ষা ও সামাজিক বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শিক্ষা বিষয়ক বুলেটিন ‘শিক্ষালোক’-এর নির্বাহী সম্পাদক। এছাড়া ছোটকাগজ ‘বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি’র সম্পাদক। ‘গণমাধ্যমে প্রতিফলিত শিার চালচিত্র’, ‘আমাদের শিক্ষা: বিচিত্র ভাবনা’ ও ‘আমাদের শিক্ষা: নানাচিন্তা’ তার তিনটি যৌথভাবে সম্পাদিত সংকলন গ্রন্থ। ‘যার যার বাঁশি ও বন্দুক’ এবং ‘শিশিরের বুকে শিস দিয়ে’ তার দুটি কবিতার বই। পেশাগতভাবে তিনি একজন উন্নয়নকর্মী। বই পড়া তার অন্যতম আনন্দ।
একটি ঝিনুক ভোর
শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে না
না এই পাথর এই বৃক্ষ এই তারা-মহাতারা
শুধু একটি স্মৃতি।
শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে না
না এই ভিটে এই জমিন এই সিংহাসন
শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস।
শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে না
না এই সুখ এই খ্যাতি এই ভোগ
শুধু এক সুপ্তসুর।
শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে না
না এই সম্পদ এই ক্ষমতা এই উল্লাস
শুধু অতীতের ছায়া।
শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে না
না এই পশ্চাৎধাবন এই খুন এই মুছে ফেলা
শুধু একটি গাঢ় দাগ।
আর থাকে শুধু একটি স্লোগান
একটি মিছিল
একটি রাজপথ
একটি প্রশান্ত ঢেউ
একটি শুভদ্বীপ
অবিরাম অশ্রু সহস্র সহস্র গ্লানি
অনেক হারিয়ে যাওয়া
ও ক্রমাগত ডুবে ডুবে মৃত্যুর পর
একটি ঝিনুক ভোর
অশ্রুভেজা হাসি
একটি স্বপ্নজয়।
প্রেমের প্রার্থনা
আমাদের প্রেম হোক
বাসর হোক
সন্তান হোক
সেইভাবে যেইভাবে
কানে কানে কথা হয় নির্যাতিত মানুষের
দিনে দিনে সে মানুষ জড়ো হয়
এখানে ওখানে নদীতে প্রান্তরে বনে
চেতনা হাতবদল হতে থাকে
নিবিড় আঁধারে বিড়ির আগুনের মতো।
আমাদের প্রেম হোক
মিলন হোক
উত্তরসূরি হোক
সেইভাবে যেইভাবে
মানুষ সংগঠিত হয়
বিদ্রোহে জ্বলে ওঠে
ছাই হয় সিংহাসন-
রাঁধুনি পিওর গুঁড়া মশলার মতো
গুঁড়া গুঁড়া হয় রাজ্য সেইরকম-
মানুষ বানায় নতুন রাষ্ট্র
তোলে নতুন সূর্য দিগন্তে দিগন্তে
আমাদের প্রেম হোক ঠিক সেইভাবে
প্রিয়।
অন্ধকারে পথ হাঁটি
গাঢ় অন্ধকারের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি
হয়তো এভাবেই যেতে হবে আরো কিছুদিন
কিংবা বহুদিন
জানি না কতদিন
পেছনে আলো ছিল আগে একদিন
সামনে নেই- তবু
পিছন ফিরে তাকাবারও জো নেই।
এভাবেই হেঁটে যেতে হবে আরো কিছুদিন
জানি না কতদিন
শুধু জানি এক অন্ধবিশ্বাস
এখন একমাত্র সম্বল-
অন্ধকারের পর আলো থাকে
আছে
থাকবেই।
ভেঙ্গে পড়ছে ধসে পড়ছে
ভেঙ্গে পড়ছে মূর্তি, ধসে পড়ছে মূর্তি
যত দাসব্যবসায়ীর, ঔপনিবেশিকের, শোষকের
ভেঙ্গে পড়ছে সাপের বিষদাঁত, কুমিরের লেজ, হায়েনার নখ
কারখানার চিমনি, প্লাস্টিকের বর্জ্য, মিথ্যা অ্যাকাউন্ট
অভেদ্য সিকিউরিটি, অবৈধ গ্যারান্টি, কালো মুদ্রা
ও সাংবিধানিক ইমিউনিটি
ভেঙ্গে পড়ছে যত একশো চুয়াল্লিশ ধারা
কারফিউ
হল্ট
ভেঙ্গে পড়ছে মূর্তি, ধসে পড়ছে মূর্তি
যত দেবতার, বিভক্তির, শে^ত সন্ত্রাসের
যুদ্ধবাজ, নারী বিদ্বেষী ও অন্ধত্বের
যারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাঁচে তাদের মূর্তি
রূপবতীর সোনার শেকলের সাজ
ভক্ত দাসানুদাসের চাবুকের সুখ
হাতের চুড়ি, কানের দুল, মালা আর নাকছাবি
ভেঙ্গে পড়ছে মূর্তি, ধসে পড়ছে মূর্তি
দৈত্য ও দানব লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে যে যেদিকে পারে
বহুদিন পর আবার মূর্তি ভাঙ্গার উৎসব
বিশ্বময়
ভেঙ্গে পড়ছে যত একশো চুয়াল্লিশ ধারা
কারফিউ
হল্ট
অন্যরকম সেদিন
হাত থেকে ছুটে যাবে ঘুড়ি
ছিঁড়ে যাবে সুতা নাটাই উড়বে হাওয়ায়
পথিক হারাবে পথ নতুন পথের খোঁজে
বাতাসে ছড়াবে মৃত্যুগন্ধ দিড়িম দিড়িম আওয়াজ
অন্ধ পাবে আলো- ভাষা ফুটবে বোবার মুখে
ভূমিষ্ঠ শিশুর হাত ছুঁয়ে দিবে চাঁদের কিনারা
প্রত্যেক চায়ের কাপে ঝড় উঠবে সেদিন
প্রেমিক-প্রেমিকা আবেগের জলোচ্ছ্বাসে ভাসতে থাকবে
পাথরে ফুটবে ফুল, পিপিলিকার গজাবে পাখা
মরিবার তরে। সবকিছু একটু অন্যরকম হবে
সেদিন- দার্শনিকের কলমের ডগা এমনকি
শিশুর হাতের একেকটা দৃশ্যত ললিপপও
বর্ষণ করবে কিছু কাম কিছু রস কিছু খুন
সামান্য ঘাসের ডগা সেও নির্ভিক বলে উঠবে
আমিই সকল দ্রোহের উৎস ঠাসা জ¦লন্ত বারুদ।
জঙ্গলের কাব্য
জঙ্গল ছেড়ে একদিন এলাম সমাজে
সুন্দর জীবনের আশায়
কিন্তু হায়! সমাজ দেখি
জঙ্গলের অনেক অনেক নিচে
জঙ্গলে যে বাঘ ভাল্লুক ও হায়েনা থাকে
তাদেরকে তবু চিনি ও বুঝি অনেকখানি
সমাজে যেসব বাঘ ভাল্লুক ও হায়েনা থাকে
তারা খুবই অচেনা
দেখতে অবিকল মানুষের মতো
আমারই মতো কিংবা আমিই কোনো
বাঘ সিংহ হায়েনা মানুষের খোলসের ভিতরে?
বাঘকে তবু ভালোবাসার কথা শোনানো যায়
সিংহের কাছে তবু প্রতিজ্ঞা করা যায়
হায়েনার সঙ্গে চুক্তি হয় মাঝেমাঝে
কিন্তু জঙ্গলের চেয়ে ভয়ংকর এই সমাজে
বাঘ ভাল্লুক হায়েনার চেয়েও
ভয়ংকর প্রাণীদের কাছে
ভালবাসা প্রতিজ্ঞা চুক্তির কী মূল্য?
আমিও ভেঙেছি কত ভালোবাসা
ধুলায় ফেলেছি কত প্রতিজ্ঞা
কত চুক্তির করেছি খেলাপ!
জঙ্গল কি সেই স্বর্গ
যেখানে রাজা লিয়রের আশ্রয় হলো
বুদ্ধরা ধ্যানে বসে পেল
অসীমের আলো?
সমাজ কবে জঙ্গলের ঊর্ধ্বে উঠে
আবার স্বর্গ হবে
মানুষ ও ঈশ্বর হবে
চিরসাথী?
তালাকনামা
যতই আমায় জোর করো
যতই আমার মুখ ধরো ছেঁড়ো চুল
যতই বাঁধতে চাও হাতপা আমার
আমি বলবোই বলবোই
তোমাকে চাই না
তোমাকে চাই না
তোমাকে চাই না
যতই দেখাও ভয় তাড়িয়ে দেয়ার
ভাতের থালা সরিয়ে নাও মুখের সামনে থেকে
দরজা আটকে রাখো সকাল বিকাল
চব্বিশ ঘণ্টা গোয়েন্দা যতই লাগাও পিছে
সাত তলা থেকে ফেলে দেয়ার ভয় দেখাও
চুলের গোছা মুঠিতে ধরে টান মেরে ফেলো
মাটিতে বা বিছানায়, ছিঁড়ে ফেলো অন্তর্বাস
রক্তাক্ত করো সুডৌল স্তন ঠোঁট নাভি
বেশ্যা কিম্বা নষ্টা বলে গালি দাও যদি
হঠাৎ মাইক্রোফোন অফ করে কেড়ে নাও কথা
ইচ্ছে হলেই উঠানে কারফিউ জারি করো
বাঁশবাগানে একশো চুয়াল্লিশ ধারা
বেয়াড়া সংসারদ্রোহী বলে অভিযুক্ত করো
আজ রাতে নিয়ে যাও গুলতি খেলার চকে
কিম্বা লুটেপুটে পুড়ে খাক বারো ভাতারের বনে
এমনকি চুমু খেতে ভোটারবিহীন কেন্দ্রে নিয়ে
গায়ের জোরে লোমশ বুকে চেপে ধরো যদি
আমি বলবোই বলবোই
তোমাকে চাই না
তোমাকে চাই না
তোমাকে চাই না
যতই আমায় জোর করো
মুখ ধরো ছেঁড়ো চুল বাঁধো হাত ও পা
তুমি আমার যতই …
আগুন দে রে দে
মুঠোয় খানিক আগুন দে
আকাশপানে ছুঁড়ি
হিম দেখলেই কাঁথা
আর দেব না মুড়ি
বুকে ফাগুন আগুন ঢাল
বাহিরে পা বাড়াই
ঘুমিয়ে যারা তাদের
হাতপা ধরে নাড়াই
আগুন ফেলে দে রে দে
ভয়কে চেপে ধরি
ভেড়ার মত আর না আয়
যুদ্ধে গিয়ে মরি।
ভাত না আজ আগুন চাই রে
পাগলা বীণা বাজে
মিছিলের সামনে যাব
নূর হোসেনের সাজে।
ইউজিন ডেবস বলছি
যুক্তরাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক নেতা ও পাঁচবার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইউজিন ডেবসকে (১৮৫৫-১৯২৬) নিবেদিত
অনেক বছর হলো বুঝে গেছি
জগতে যা কিছু জীবনময় সবাই আমার আত্মীয়
বুঝেছি এ সত্য- নিম্নতম প্রাণের চেয়েও
আমি এক বিন্দু মহত্তর নই।
বলেছি তখনি, এখনও বলি
যতক্ষণ একটিও নিচু শ্রেণি আছে
আমি তাদেরই একজন।
অপরাধী শ্রেণি আছে কোনো
আমিও তাদের একজন যারা
গতর খেটে মজুরি ভিক্ষা করে জেলের বাইরে
আর লাঠির সামনে কাঁপে জেলের ভিতর।
যদ্দিন একটি আত্মা বন্দীঘরে আছে
আমিও মুক্ত না পৃথিবীতে।
ভালো করেই দেখেছি-
প্রতিটি বেয়নেটের ঝিলিকে ও প্রতিটি বন্দুকের গর্জনে
শ্রেণীসংগ্রামের উলঙ্গ প্রকাশ।
প্রভুরা কেবল বসে বসে যুদ্ধ ঘোষণাই করে
আর দাসেরা সে যুদ্ধে প্রতিদিন বাঁচে ও মরে।
আগামীকালের সূর্যোদয় ঠেকানোর বিফল চেষ্টার মতই
ব্যর্থ জেনো সাম্যের পৃথিবী ঠেকানোর এই অপপ্রয়াস।
তোমার শব্দরা
তোমার শব্দরা সব
নরম তুলার মত তুলতুলে, আহা!
ধরতে ইচ্ছে করে, নাড়তে ইচ্ছে করে
খেলতে ইচ্ছে করে, ফেলতে ইচ্ছে করে
মারতে ইচ্ছে করে, উড়াতে ইচ্ছে করে
আরো কত কী যে ইচ্ছে করে সারাক্ষণ …
কিন্তু আমরা শুনেছি এই খেলনার
খুব ভিতরে লুকানো আছে একটা সময়বোমা
যেদিন লুকানো সেই বোমাটি
ফেটে যাবে ভয়ানক শব্দে
যে শব্দে বৃক্ষের কুসুম পথে ঝরে পড়বে
সাপের মাথার মণি ছিটকে পড়বে দূরে
সূর্যটা উঠবে আরো লাললাল হয়ে
চাঁদ কমলাফুলির সাজে হবে টকটকে রাঙা বউ
সব নদীই হয়ে উঠবে প্রমত্তা পদ্মা
গুঁড়িয়ে যাবে দেয়াল আরো শত শত
একেকটা ফুঁ নিজেই একেকটা ঝড় হবে
নিভাতে গেলেই আগুনেরা অভিমানে
ক্ষোভে আর ক্রোধে আরও জ্বলে উঠবে হুহু করে
সেইদিন কতদূর?
ভাল্লুকের গল্প
একটা ভাল্লুক দেখেই
চালাক ছেলেটি দৌড়ে গাছের আগায় চড়ে ওঠে
বোকা ও বুদ্ধিমান উভয় ছেলেমেয়ে যারা
তারা মৃতের ভান করে মাটিতে শুয়ে রয়
প্রতিদিন এভাবেই চলে ইতিহাসহীন ট্রেন।
শতাব্দীতে একবার একজন আসে
যে চালাক বা বোকা ও বুদ্ধিমান কিছু নয়
সামান্য হয়েও জ্ঞানী সাহসী ভবিষ্যৎদ্রষ্টা
সে রুখে দাঁড়ায় ওই ভাল্লুককে
ঠিক সে হেরে যায়, তবু রেখে যায়
রুখে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্পসব
তৈরি করে ইতিহাস
যে ইতিহাস অবশ্য এখনো লেখার অপেক্ষায় …
এখনও ইতিহাস ভাল্লুকেরা লেখে
সেখানে রুখে দাঁড়ানো ছেলেটি
কেবলই ছোট্ট এক ফুটনোট
আমরা ভাল্লুকের ইতিহাস পড়ি
ছেলেটির শুধু গল্প-গান-ছবি …
ভোরের মাচায়
এ স্লোগান দিয়ে সমুদ্রের দিকে হাঁটি
এ মিছিল নিয়ে বসি পাহাড়ের খাঁজে
এ স্লোগান দিয়ে ফসলের মাঠে যাই
এ মিছিল নিয়ে আয় নগরের মাঝে
এ স্লোগান দিয়ে ফুলের বাগানে ঘুরি
এ মিছিল নিয়ে খাড়াই সেতুর ওপর
এ স্লোগান দিয়ে কংক্রিট প্রান্তরে যাই
এ মিছিল নিয়ে আয় বিমানবন্দর
এ স্লোগান দিয়ে বসি কারখানা গেটে
এ মিছিল নিয়ে রেলের জনসভায়
এ স্লোগান দিয়ে জেলের প্রাঙ্গণে যাই
এ মিছিল নিয়ে দাঁড়াই শেরে বাংলায়
এ স্লোগান দিয়ে নারকেলবনে থামি
এ মিছিল নিয়ে রাতভর হাঁটি আয়
এ স্লোগান দিয়ে নতুন কৌশল বুনি
এ মিছিল নিয়ে মিলি ভোরের মাচায়