অনলাইন ডেস্ক : কানাডার গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) ১.৩ শতাংশ বেড়েছে। আর্থিক বছরের ২য় প্রান্তিকে (এপ্রিল-মে-জুন) সামান্য সংকোচনের পর তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর) জিডিপির এই বৃদ্ধি অর্থনীতির ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। করোনা মহামারীর কিছু বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ায় ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ের চাহিদা বৃদ্ধি ও সেই সাথে রফতানি বৃদ্ধির ফলে জিডিপি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান কানাডা। গত সপ্তাহে সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে দেশে পণ্য ও সেবা গ্রহণের মোট মূল্যমান ছিল ২.০৯৩ ট্রিলিয়ন ডলার। আগের প্রান্তিকে এই মূল্যমান ছিল ২.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার। সার্বিক জিডিপি বৃদ্ধির পেছনে বড় ভ‚মিকা রেখেছে সেবা খাত ও মাঝারি স্থায়িত্বের (সেমি-ডিওরেবল) পণ্য।
পরিসংখ্যান কানাডার তথ্য মতে, করোনা বিধি-নিষেধ হ্রাস পাওয়ায় এই প্রান্তিকে পোশাক-পরিচ্ছদ ও জামা-জুতার মতো মাঝারি স্থায়িত্বের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ। এছাড়া যাতায়াত ও পর্যটনের মতো সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬%। অন্যদিকে খাদ্য ও পানীয়ের মতো স্বল্প মেয়াদর স্থায়িত্বের পণ্যের চাহিদা খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
মধ্য মেয়াদের স্থায়িত্বের পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল জুতার (৩০%) এবং কাপড়ের (২৭%)। অর্থাৎ কানাডিয়ানরা এতিদন করোনার কারণে এই দু’টি পণ্য ক্রয়ে বিরত ছিল। এখন তারা এগুলো ক্রয় করা শুরু করেছে। এই প্রান্তিকে সেবা খাতেও প্রাণ ফিরেছে। বিমানের টিকিট বিক্রি বেড়েছে ৪০%। বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির হার ২৬%। এছাড়া পার্লার, জিম আর পানশালার ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। টিডি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ শ্রি থানাবালাসিঙ্গম বলেন, স্বল্প ও মধ্য মেয়াদের স্থায়িত্বের পণ্য জিডিপিতে ভ‚মিকা রাখছে- এটি ভাল লক্ষণ। তবে অর্থনীতির জন্য সত্যিকারের ইতিবাচক হবে কলকারখানা ও গৃহনির্মাণের মতো দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়ীত্বের (লং ডিওরেবল) পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে। সূত্র : সিবিসি