স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আবরের কাছে ‘হোঁচট’ খেলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। তবে এই প্রথম নয়, আর্জেন্টিনার জার্সিতে বারবার হোঁচট খেয়েছেন মেসি।
তবে ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোনো বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। অ্যানহেল ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারায় লিওনেল মেসির দল। এটাই দেশের হয়ে মেসির প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা।
গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে ১-২ গোলে হারার পর মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বড় ধাক্কা লেগেছে। গ্রুপ ‘সি’-তে সৌদির পর মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের মতো বড় প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে হবে আর্জেন্টিনার।
গত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। ১-১ গোলে ড্র করে কোনো রকমে আর্জেন্টিনার মানরক্ষা হলেও মেসির ব্যর্থতা চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গ্রুপ পর্যায়ের বিদায়ের লজ্জা বাঁচাতে পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল মেসির দল। নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোল করে ভক্তদের মন রেখেছিলেন মেসি। তবে পরের রাউন্ডে বিদায় নিতে হয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনাকে।
একের পর এক দুরন্ত গোল করলেও বহু ফুটবলারের মতো আবেগে ভেসে যান না। বরং নিজের উচ্ছ্বাস বেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন মেসি। তবে ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা কাপ ফাইনালে বোধ হয় তার আবেগের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। কাপ জেতার স্বপ্ন খান খান হয়ে যাওয়ার পর কান্নায় ভেসেছিলেন তিনি। পেনাল্টি শুটআউটে চিলির কাছে হেরে আচমকাই অবসরের ঘোষণা দেন।
জাতীয় দলের জার্সি ছেড়ে বেশি দিন থাকতে পারেননি মেসি। মাস দুয়েক পরে সে অবসর ভেঙে ফিরে আসেন। সে সময় বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলে অনেক কিছু মেরামতি বাকি। তবে বাইরে বসে সমালোচনা করার চেয়ে মাঠের ভিতরে ঢুকে তা করতে চাইব।’
ব্রাজিল বিশ্বকাপেও নিরাশ করেছিলেন মেসি। সেবার ২৪ বছর পর ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ছিল জার্মানির মতো কড়া প্রতিপক্ষ। তবে অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোতজের এক গোলেই চুরমার হয়ে গিয়েছিল মেসি তথা গোটা আর্জেন্টিনার কাপ জয়ের স্বপ্ন। ০-১ গোলে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল মেসির দল।
২০১০ সালে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে বারও বিশ্বকাপ ঘরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন মেসি। সে বার ফিফার বিচারে প্রথম বার বিশ্বসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতেছিলেন তিনি। ম্যারাডোনার প্রশিক্ষণে কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন মেসিরা।
গ্রুপ পর্যায়ে নাইজিরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং গ্রিসের বাধা টপকে শেষ ষোলোয় মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন মেসিরা। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির দেয়াল ভেদ করতে পারেননি তারা। সে ম্যাচে ০-৪ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন মেসিরা।