অনলাইন ডেস্ক : নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতে ছিল, হোটেলে ছিল, পার্সোনাল বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু এক জায়গার কথা জানেন। বাকি কথা জানেন না। অচিরেই হয়ত জানতে পারবেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫৬ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, যতদিন আমরা থাকি চেষ্টা করবো মানুষ ও দেশের জন্য কিছু করার। দেশটা এমন তছনছ হয়ে গেছে যে ঠিক করা ভেরি ডিফিকাল্ট, শুধু আমাদের জন্য না, আগামীতে যারা সরকারে আসবে তাদের জন্যও। সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই দেশে এমন চুরি হয়েছে এই চুরিকে আমি সাগর চুরি বলি না, প্রশান্ত মহাসাগরের মতো চুরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার তরুণ জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই অবদানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে এটা আপনারা বৃথা যেতে দেবেন না। এখনও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এগুলো হচ্ছে। অনুরোধ করবো সমাজে যারা নেতৃস্থানীয় আছেন তারা চাঁদাবাজি প্রতিহত করুন। কারণ অনেক হয়ে গেছে, এর জন্যই দেশের আজ এই অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, একসময় খুলনা নগরীতে মোংলা বন্দরের অফিস ছিল। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা নগরীতে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা বন্দর, খুলনার বন্দরকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরও কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সবার। মোংলা বন্দরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পূর্ণ বিকাশ হবে না, এক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান।
এতে সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের মো. আনিছুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম জহির। সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।