মনিস রফিক : কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের জন্ম, বেড়ে উঠা আর কানাডার নেতৃত্বে আসার অসাধারণ কিছু ঘটনা উপস্থাপন করেছেন তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘কমন গ্রাউন্ড’ এ। জাস্টিন ট্রুডোর সাবলীল আর অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা খুব সহজেই পাঠকের সামনে উম্মোচিত করে কানাডার রাজনীতি, সংস্কৃতি আর স্বপ্নকে। ইংরেজি ভাষায় লিখিত গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মনিস রফিক। ‘বাংলা কাগজ’ এ ‘কমন গ্রাউন্ড’ এর অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।
পঁচিশ.
রগ উলফ নাইট ক্লাবে আমি যে শিক্ষাটা পেয়েছিলাম তা আমার রাজনৈতিক জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবিকভাবে প্রয়োগ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তুমি পানশালার মারমুখী পরিস্থিতি বা রাজনীতির তর্কাতর্কি’র মত কোনো অবস্থাতে যদি তোমার ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতে চাও, তবে সেখানে তোমার সামনে যে বাঁধাটা প্রধানভাবে হাজির হয়, তা হচ্ছে মানুষের অহংবোধকে জয় করা। একবার যখন কোনো কারণে মনোমালিন্য শুরু হয়, তখন কেউ আর নিজেকে নিবৃত করার চেষ্টা করে না বা নিজের ভুল স্বীকার করার ধার ধারে না। আমার প্রতিপক্ষের মারমুখি আচরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা প্রায়ই প্রয়োজন পড়তো তা হচ্ছে, তাকে কোনো রকমে পানশালা থেকে বের করে বাইরে নিয়ে যাওয়া, তখন সে হয়তো মাতাল অবস্থায় তার ঘুসি উঁচিয়ে বিজয়ীর ভংগিতে গলা ফাটাতো, তবে সবকিছু সে করতো বাইরে দাঁড়িয়ে, কখনো বৃষ্টিতে ভিজে। এমন পরিস্থিতিতে তখন সাধারণত ভিতরের উষ্ণ জায়গায় আমার কাজগুলো আমি শেষ করে ফেলতাম।
রগ উলফ নাইট ক্লাবে কাজ করতে করতে এই সব মদ্যপদের নিয়ন্ত্রণে আনার মনস্তাত্তি¡ক কৌশলগুলো ধীরে ধীরে ভালোভাবে জানার সাথে সাথে আমি জেনে ফেলেছিলাম যুব সমাজ কিভাবে ধীরে ধীরে মদ আর নেশাজাত দ্রব্যের দিকে আকৃষ্ট হয়ে নিজেদের ধ্বংস করে ফেলে। আমি অসংখ্য বেকুব মানুষকে দেখেছি যারা কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই শুধু জীবনে কোনো কিছুর ওপর নিরাশ হয়ে বা জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে কিভাবে নিজেদের ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। সেই সাথে আমি এও দেখেছি, কিভাবে পৌরুষদীপ্ত কিছু যুবক যারা ভাবে রাতে বাইরে কাটিয়ে মারামারি করার মধ্যেই তারা তাদের জীবনের বীরত্ব ফলাতে পারে। যারা মদ বা নেশাজাত দ্রব্যের মধ্যে জীবনের সুখ খুঁজতে চাই তারা একেবারে বুঝতে চাই না যে এই পথ শুধু তাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি কখনো ওমনভাবে নিজেকে ধ্বংস করবো না।
আমার অন্য কাজগুলোতেও সফল হবার জন্য আমি সাধারণত ও ধরনের কিছু কৌশল অবলম্বন করতাম, বিশেষ করে স্নো-বোর্ডে বাচ্চাদের খেলা শেখানোর সময়। আমি তখন ছোট বাচ্চা বা কিশোরদের জন্য ব্লাককোম্ব এর চমৎকার ‘রাইড ট্রাইব’ ট্রেনিং প্রোগ্রামে ইন্সট্রাক্টরের কাজ করি। এই প্রোগ্রামটা কিন্তু শুরুতে খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না। এই ‘রাইড ট্রাইব’ প্রোগ্রামটি মূলত ছিল তাদের জন্য যাদের স্নো-বোর্ডিং এ কোনো সঙ্গী থাকতো না বা যারা কিছুটা বড় থাকতো এবং তাদের বাবা-মা যখন স্কি করতো তখন তারা নিজেরা নিজেদের মত করে আনন্দের কোনো খেলায় মেতে থাকতে পারতো না। আমার বন্ধু সীন স্মিলী এই পরিস্থিতি ভালোভাবে উপলব্ধি করে মূল প্রোগ্রামটার কিছুটা পরিবর্তন করে। ছোট বাচ্চাদের সাথে কাজ করতে বা তাদের ভালোভাবে নতুন কিছু শেখাতে চাই এমন কয়েকজন ইন্সট্রাক্টরকে এক করে সে এই বিষয়টা আলাপ করে। সীনের সেই উদ্যোগ খুব সফল হয়েছিল এবং সেখান থেকে আমি যেটা শিখেছিলাম তা হচ্ছে, যদি কখনও দেখি যে কিছু শিক্ষার্থী কোনো কিছু শেখা থেকে নিজেদের বিমুখ করে রাখছে বা ঐ কাজে নিজেদের ভালোভাবে সম্পৃক্ত করতে পারছে না, এমন অবস্থায় তাদের শেখানোর জন্য এমন কিছু ইন্সট্রাক্টর দরকার যারা সত্যি সত্যিই মন থেকে সেই কাজটা পছন্দ করে এবং যারা খুবই মমতাভরে সেই সব শিক্ষার্থীদের শেখানোর তাগিদ অনুভব করে।
সীন আমাদের যা জানিয়েছিল তা হচ্ছে, স্নো-বোর্ড ইন্সট্রাক্টরদের সেই পুরানো স্কি স্কুলের সেই বারবার ঘুরো-থামো-ঘুরো-থামো’র গতানুগতিক পদ্ধতিটি অনুসরণ করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। স্নো-বোর্ডিং খুবই একটা উদ্দীপ্ত করার মতো খেলা, হয়তো বরফের মধ্যে যত খেলা আছে, তার মধ্যে এটা সবচেয়ে বেশী উদ্দীপনাময়। তবে এই ইতিবাচক পরিবেশে এবং দক্ষ ইন্সট্রাক্টরের তত্ত¡াবধানে যে কোনো খেলায় হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি আনন্দের। এভাবে শুরু করার পর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই সেই পাহাড়ে যারা স্নো-বোর্ডিং শুরু করেছিল তারা সবাই মূল কৌশলগুলো শিখে আনন্দের সাথে এই খেলায় নিজেদের মাতিয়ে রাখতে শুরু করে। আমি বলতে পারি, এই কারণেই নব্বই’য়ের দশকে এই খেলাটা ওত দ্রæত জনপ্রিয় হতে শুরু করে। সীন এই সাফল্যের পর থেকে নতুন ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া শুরু করে যাদের মনমাতানো সব স্নো-বোর্ডিং এর কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে আকৃষ্ট করতে থাকে।
ওটা সত্যি সত্যিই কাজ করেছিল। যে সব বাচ্চা কাচ্চারা আমাদের ঐ প্রোগ্রামে ছিল তারা অন্যদের সেই প্রোগ্রামের চমৎকারিত্ব বিষয়ে বলতে লাগলো। তারপর খুব দ্রæতই আমরা শুনতে পেলাম ভেল এবং এসপেন এর মতো জায়গাই একই ধরনের প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেছে। বøাককোম্ব এ সেই ‘রাইড ট্রাইব’ প্রোগ্রামটি আগে তেমন কিছু করতে পারছিল না, কিন্তু ঐ কিছুদিন পরই রাতারাতি সেই প্রোগ্রাম থেকে ভালো একটা অর্থ আসা শুরু হয়ে গেলো। ‘টিন পিপল’ ম্যাগাজিন থেকে সাংবাদিক এসেছিল ‘রাইড ট্রাইব’ এর ওপর একটা প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য, বলা যেতে পারে, ওটা ছিল ঐ বিষয়টা সবাইকে জানান দেয়া একটা কাজ যেটাকে আমার অটোয়ার রাজনৈতিক সহকর্মীরা বলতে পারে সংবাদ মাধ্যমে হৈ চৈ লাগিয়ে দেয়া।
যে কোনো শিক্ষকই তোমাকে বলবে, তার জীবনের সবচেয়ে চমৎকার ও সফল সময় হচ্ছে যখন তিনি তার শিক্ষা দিয়ে আলো জ্বালাতে পারে, আর যখন কোনো শিক্ষক দৃশ্যত দেখতে পায় তার কোনো ছাত্রকে তিনি যা শেখাচ্ছেন তা সে ভালোভাবে রপ্ত করতে পারছে। সেই স্নো-বোর্ডিং এর দিনগুলিতে আমার জীবনে সেই আলো জ্বালানোর মুহূর্ত বেশ কয়েকবার এসেছে এবং সেই প্রতি মুহূর্তেই তারা আমাকে এক ঝাঁকুনি দিয়েছে। হয়তো এর পেছনে যে বিশেষ কারণ ছিল তা হচ্ছে, স্কি’র সাথে স্নো-বোর্ডিং এর প্রকৃতিগত একটা মিল। স্কি’র ইন্সট্রাক্টরদের অবশ্যই তাদের ছাত্রদের কিছু কৌশল শেখাতে হয়, কিন্তু কিভাবে ভালো ও সহজভাবে স্নো-বোর্ডের হাতল ধরতে হবে, এটা শেখাতে হলেও বেশ কিছু গোপন কৌশল আছে। সাধারণ কৌশল হয়তো সবাই সহজেই ধরতে পারে, কিন্তু গোপনীয় কৌশলটা শিখতে হলে প্রয়োজন এটার প্রতি এক বিশেষ মনোযোগ আর এটা শেখার এক অদম্য স্পৃহা। যখন কোনো বাচ্চা সেই গোপন কৌশল শিখে স্নো-বোর্ড চালাতে শুরু করে, তখন তার মধ্য যে আনন্দের স্রোত বয়ে যায় সেটা সে আর ধরে রাখতে পারে না। সে চিৎকার করে তার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করে। ঠিক তেমনি একজন শিক্ষকের কাছেও বিষয়টা এমন এক আনন্দের হয় যখন তিনি দেখেন, তার ক্লাসের সব ছাত্রই শিখে গেছে কিভাবে সামান্য পাছা ঘুরিয়ে সবাই একসাথে এক ত্রিকোণাকৃতির এক গতি আনতে পারে।
স্নো-বোর্ডিং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে তখন আমি যে বিশেষ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলাম তা হচ্ছে, আমার পরিচিত যে সব কিশোর বয়সী ছেলেমেয়ে ছিল তারা প্রায় সবাই সেই খেলাটা আর সেই পাহাড়ী জগত সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতো না। স্কি আর স্নো-বোর্ডিং এর মধ্যে যে পার্থক্য সেটাও তারা সঠিকভাবে জানতো না।
স্কি’টা ভালোভাবে রপ্ত করতে কয়েক বছর লেগে যেতো। আর এই স্কি শিখতে গিয়ে একজন এর পেছনে যে সময়টা ব্যয় করতো তাতে কোনো ব্যস্ত পাহাড়ে স্কি করতে গেলে কি কি ঝুঁকি বা ছন্দের সম্মুখীন তারা হতে পারে, তার সাথে তারা আপনা আপনিই পরিচিত হয়ে যেতো। কিন্তু স্নো-বোর্ডিং এর ক্ষেত্রে এমনটা প্রযোজ্য ছিল না। কেউ হয়তো উপর থেকে নীচে নামা শুরু করে দিলো, তারপর কিছু দিনের মধ্যেই সব কিছুই সামনের দিকে চলতে থাকতো। তবে বরফ জমা পাহাড়ী পথ বেয়ে কিভাবে তারা চলতে থাকবে বা খাঁড়া পাহাড় থেকে কিভাবে নিরাপদ কোনো স্থানে গিয়ে তারা থামবে এর যে যথাযথ নিয়ম আছে, তা বেশীর ভাগ মানুষই সঠিকভাবে জানে না। এটা হয়তো একটা কারণ হবে, যার জন্য যারা স্কি করে তারা প্রায়ই স্নো-বর্ডাদের অনাকাংখিত ব্যবহারের ব্যাপারে অভিযোগ করে বসে। এর মানে এই নয় যে, সব স্নো-বর্ডাররা সঠিক নিয়ম কানুন জানে না, বরং বলা যেতে পারে ওমন পাহাড়ী পরিবেশে তাদের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করতে পারে না। কারণ ভ্রমণের পথগুলোর বাঁকে বাঁকে কিছু চোরা জায়গা থাকতো, যেগুলোর জন্য দূর থেকে কিছু দেখা যেতো না, আর এই জায়গাগুলো খুব সতর্কের সাথে পার হতে হতো। ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেবার সময় আমি সব সময় তাদের বলতাম, সব সময় চারিদিকে ভালোভাবে দেখে নিবে আর নিজ থেকেই ধারণা করে নিবে, কোথায় কোন স্কি বা স্নো-বোর্ড আছে এবং ওগুলো কোথায় কখন চক্কর দিবে, আর কোনটার গতি ধীর হবে বা কোনটা থামবে অথবা কোনটার উল্টিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। ব্যাপারটা ছিল কিছুটা রক্ষণাত্মক ড্রাইভিং শেখানোর মত। আমি সব সময় চাইতাম, আমার ছাত্ররা তাদের আশেপাশের সব মানুষ বা সবকিছুর ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকুক।
বøাককম্ব এ আমি যে জিনিসটা শিখেছিলাম তা হচ্ছে ছেলেমেয়েদের কোনো একটা বড় দলকে কিভাবে ফলপ্রসূভাবে সামলানো যায়। সকাল আটটার আগেই বাবা-মা’রা তাদের সন্তানদের আমাদের কাছে রেখে চলে যেতো, কিন্তু নয়টার আগে আমরা কখনও পাহাড়ের দিকে যাওয়া শুরু করতাম না, আমরা ঐ এক ঘণ্টা বারো থেকে ষোল বছরের বালক কিশোরদের সাথে সময় কাটাতাম। যাদের ঐ বয়সের ছেলেমেয়েদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যে ঐ বয়সের ছেলেমেয়েরা একটু এদিক ওদিক হলেই কর্তৃপক্ষের দিকে চোখ রাঙাতে থাকে। সেই কারণে আমি যখন তাদের জন্য বেশী অনুশীলনের ব্যবস্থা করতাম, তখন আমি সব সময় মাথায় রাখতাম কোনোভাবেই যেন আমার নিজের প্রতি আস্থা আর নিজের নেতৃত্বের বিশ্বাসের প্রতি কোনো রকম চির না ধরে। আমার মনে হতো যদি কখনও সামান্য কোনো মুহূর্তের জন্য আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারি তাহলে স্নো-বোর্ডিং এ যাওয়ার পূর্বেই একটা দলের মধ্যে যে আত্মিক শক্তি থাকে তা আমি হারাবো। অনেক আগেই আমি অনুধাবন করেছিলাম, ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে খুবই সফলভাবে কাজ করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আমার আছে।
স্নো-বোর্ডিং পর্বে আমার জীবনে যা ঘটেছিল তা হচ্ছে, সেটা আমাকে সরাসরিই শিক্ষকতা পেশার দিকে আমার চিন্তা চেতনাকে ধাবিত করেছিল। প্রতিদিন স্নো-বোর্ডিং এর কাজ শেষে আমি যে আনন্দ সন্তুষ্টি আর পূর্ণতা পেতাম তাতে আমার মন থেকেই মনে হতো যে শিক্ষক হয়ে আমার অনেক কিছুই করার আছে আর শিক্ষকতা থেকে আমিও অনেক কিছুই পেতে পারি। আমি কখনও ছিলাম ক্যাম্প কাউন্সিলর, কখনও হোয়াইট ওয়াটার রিভার গাইড, আবার কখনও ছিলাম বারট্রেন্ডার। স্নো-বোর্ডিং ইন্সট্রাক্টরের পাশাপাশি আমি নাইট ক্লাবে বাউন্সার এর কাজও করতাম। বহুমুখী এই সব কাজ করতে গিয়ে আমার বারবার মনে হয়েছে আমি কি আসলেই আমার মনের মতো কাজ খুঁজে পেয়েছি যেটা আমাকে সব সময় সুখী রাখবে। আমার তখন এও মনে হয়েছিল শিক্ষকতা করাই হচ্ছে আমার প্রাণের কাজ যেটা আমাকে সত্যিই সুখী করবে। এই ভাবনা আসার পর আমার মন থেকেই মনে হলো শিক্ষকতা পেশাতেই আমার ঢুকা উচিৎ।
আমি যখন শিক্ষকতার প্রতি আমার এই গভীর আগ্রহের কথা আমার খালা হিদার’কে বললাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তাহলে আমার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বারো মাসের শিক্ষা বিষয়ক প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া উচিৎ। সেই মুহূর্তে আমার কাছে সবকিছুই একেবারে পরিস্কার হয়ে গেলো এবং আমার মনে হলো আমার শিক্ষক হওয়াই উচিৎ। ফলে স্কি সেশনের শেষের দিকে আমি মন্ট্রিয়লে ফিরে গিয়ে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু প্রয়োজনীয় কোর্স করে নিলাম, তারপর বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জীবন চিন্তাকে নতুন দিকে নিয়ে যাবার জন্য ভ্যাংকুভার এর পথে পা বাড়ালাম। (চলবে)
মনিস রফিক : চলচ্চিত্রকর্মী, টরন্টো, কানাডা