অনলাইন ডেস্ক : গত শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ডেনফোর্থের বাংলাদেশ সেন্টার ও কমিউনিটি সার্ভিসেস (বিসিসিএস) অডিটরিয়ামে আবাকান প্রতি বছরের মত এবারও একশত জন সব্জি বাগানীদের মাঝে বাংলাদেশী উন্নত জাতের শাক-সব্জির চারা বিতরণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট এর এমপিপি ডলি বেগম ও বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট রাজনীতিক ও ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উদ্যানতত্ববিদ ও আবাকানের সাবেক সভাপতি ডঃ মোহাম্মদ আলি, বীজ ও সব্জী চাষ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সভাপতি কামাল মোস্তফা হিমু, এগ্রি ইন্জিনিয়ার ডঃ মাহবুব রেজা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফায়েজুল করিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবাকানের সভাপতি ডঃ শরীফ আসাদুজ্জামান মিলু এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাশমত আরা চৌধুরী (জুঁই)।
কৃষিবিদ ও আবাকান কার্যকরি কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ- জাহানারা খানম, জাকারিয়া মোহাম্মদ মইন উদ্দিন, আজিজুর রহমান, ফরিদ আহমেদ, ডঃ জিয়াউল হক, গোলাম কিবরিয়া ও কাজী জাকির আহসান চারা বিতরণ কর্মসূচি সময় সফল করতে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বহুসংখ্যক কৃষিবিদ, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, বাগানীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আবাকানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনবেশ পোদ্দার, ডঃ নুরুন নাহার শিরিন ও গোলাম কিবরিয়া।
উল্ল্যেখ যে কৃষিবিদ মুমিনুল আজম গোয়েল্ফে তার নিজস্ব তত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বারি) ও ইফসা (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) এর গবেষণালব্দ ও উদ্ভাবিত বাংলাদেশী উন্নতজাতের শাক-সব্জির বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাউ এলামনাইকে দিয়েছেন স্বল্প মূল্যে। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, ঢাকাস্থ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী দানেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দুমকি- পটুয়াখালির কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেজুয়েটরা যারা বাংলাদেশ, জাপান, ফিলিপিনস্, ভারত, ইউরোপ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করেছেন তারা তাদের দীর্ঘদিনের শ্রমের মাধ্যমে কানাডার বৈরী পরিবেশ ও আবহাওয়ায় উৎপাদনযোগ্য উন্নতজাতের বিভিন্ন শাক-সব্জির চাষে সফলতার পথ প্রদর্শন করেছেন।
এইসব উন্নতজাতের সীম, লাউ, বেগুন, মিস্টি কুমড়া, মরিচ ও করলার ছয়শত চারা একশতজন বাগানীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রতিজনকে ছয়টি করে চারা প্রদান করা হয়েছে। সাথে চাষাবাদ বিষয়ক পরামর্শ ও যোগাযোগের জন্য রচিত একটি সংক্ষিপ্ত লিফলেট প্রদান করা হয়।
ভবিষ্যতে আরো ব্যপকভাবে ও অধিকসংখ্যক চারা বিতরণের পরিকল্পনার বিষয়ে অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়। ডলি বেগম, এমপিপি ও ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান তাদের বক্তব্যে এব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
চারা বিতরণ কর্মসুচিতে সহায়তা করায় বিসিসিএস এর পরিচালক ডঃ মাহবুব রেজা ও সিরাজুল কাজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।