অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর।
বুধবার বেলা ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল, এহসানুল হক সমাজি ও আবু আব্দুল্লাহ শুনানি করেন। এদিন মামলায় গ্রেফতার ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি শুরু করে বলেন, এই মামলাটি চাঞ্চল্যকর। নির্যাতিত পিতা, নির্যাতিত মা ও সমগ্র বিশ্ব এই বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে আবেদন করছি।
রাষ্ট্রপক্ষের আরেক কৌশলি এহসানুল হক সমাজি বলেন, মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করার পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। আদালতের কাছে আবেদন করব, আইনের আলোকে যাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলে- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারের বাইরের ছয় জন হলো ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
পলাতক তিন আসামি হলো মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত আসামি।