Home মন্ট্রিয়ল আনন্দ ধারা বইছে মনে মনে : চাঁটগাইয়া বনভোজন, কুইবেক এর বনে বনে

আনন্দ ধারা বইছে মনে মনে : চাঁটগাইয়া বনভোজন, কুইবেক এর বনে বনে

বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ বিভাগ- “চট্রগ্রাম”। কানাডার সর্ব বৃহৎ অঙ্গরাজ্য কুইবেক এবং একটি জনপ্রিয় সংগঠন- বৃহত্তর চট্রগ্রাম সমিতি, কুইব্যাক, কানাডা। মুল লক্ষ্য- ঐক্য- সেবা- প্রগতি। কুইবেক এন,ই,কিউ নং- ৩৩৪৭৯৯৬৩৮৪।
শুধু দেশে নয়, বিশ্বের অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে চট্রগ্রাম এর ভুমি, নদী, সমুদ্র, আকাশ, বাতাস, কল-কারখানা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, খনিজ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদসহ বৃহত্তর এ বিভাগটির প্রতিটি বালু কনা ও প্রতিটি নরনারী, উৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে।
স্থল পথ, নদী পথ, আকাশ পথসহ- সকল প্রকার যানবাহন একমাত্র চট্রগ্রাম দিয়েই চলাচল করতে পারে। সরকারি, বেসরকারি, সামরিক-বেসামরিক এবং বৃহৎ ও ভারি সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, পর্যটন কেন্দ্র ও বিশাল সমুদ্র সৈকত এই বিভাগেই সব চাইতে বেশি।

সুদুর কানাডা প্রবাসী চট্রগ্রামবাসীর হৃদয় দিয়ে গড়ে তোলা – সামাজিক সংগঠন “বৃহত্তর চট্রগ্রাম সমিতি, কুইব্যাক, কানাডা” খুঁজে পেয়েছে এক টুকরো “চাটগাঁও” কানাডার এই কুইবেক এর মাটিতে। দল মত নির্বিশেষে, সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল স্তরের কানাডা প্রবাসী চট্রগ্রামবাসীকে নিয়ে- প্রতি বছরের ন্যায় এবারও- আয়োজন করেছে- আনন্দ উল্লাসে ভরপুর, শহর হতে একটু দূর-বার্ষিক বনভোজন।

গ্রীষ্মকালীন ছুটির শেষ প্রান্তে- ৭ অগাস্ট ২০২২ইং, রবিবার, ১০টি বিশাল আকারের বাস এর বহর, ২০টি কার, ভ্যান ও যানবাহন এ করে আনন্দের বন্যায় মেতেছিল বৃহত্তর চট্রগ্রাম সমিতি, কুইব্যাক, কানাডা, বিশাল বনভোজন এর আয়োজনে।

বনভোজন এ অংশ নেয়া প্রতিটি প্রবাসী চট্রগ্রামবাসীর, মনের আনন্দ, উচ্ছ্বাস, অকৃত্তিম ভালোবাসা, অদম্য ইচ্ছা শক্তিসহ সকল উপমায়, মনে হয়েছে, কর্ণফুলীর উত্তাল ঢেউ এ- মহা-আনন্দে।

শক্ত হাতে বৈঠা ধরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতকে উপেক্ষা করে- বীর দর্পে সাম্পানগুলো যাত্রী নিয়ে- গন্তব্য স্থানে পৌঁছল। মেঘের গুরু গম্ভীর ডাক, আকাশের বিজলী চমকানো খেলা আর মোষল ধারে বৃষ্টি- প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আর বনভোজন এর আনন্দ উৎসব যেন এক বিশাল মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল সেন্ট জন- বসকো- সুবিশাল পার্কটি।

কানাডার সর্ব বৃহৎ অঙ্গরাজ্য- কুইবেক এর “সেন্ট- জেন- বসকো- পার্ক” এর সবুজে সবুজে আচ্ছাদিত নয়ন জুরান গাছ গাছালিতে ভরপুর, অপরূপ ও সুন্দর একটি স্থান।
খেলা-ধুলা, রং বেরং এর বিভিন্ন রাইডগুলোতে শিশু কিশোরদের মুক্ত আকাশের নীচে চরে বেড়ানো, সবুজ গাছ গাছালিতে মনের সুখে ঘুরে বাড়ানো। গাছের ছায়ায়, বনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া। বৃষ্টি ভেজা-স্নান, ক্ষণিক সময়ের জন্য মন ও প্রাণকে শান্তির পরসে বিলিয়ে দেয়ার সুখ ও আনন্দ, প্রান ভরে, উপভোগ করেছিল- বনভোজন এ আগত সকলে।
জাকির ভাই এর চা-স্টল, ইউনুস ভাই এর ঝাল মুরি, হেলাল ভাই এর খাবার হোটেল, আর ইলিয়াস ভাই মিস্টির পাতিল ছিল সকলের জন্য উমুক্ত। অফুরন্ত মজাদার খাবার, সকলে চিৎকার করে বলেছিল- আহা-কি-মজারে, চাটগাইয়া খাবারে- তৃপ্তি সহকারে ভোজ সম্পন্ন করে।

মন্ট্রিয়ল এর শ্রেষ্ঠ শীল্পি দের অংশগ্রহণে- মন কেরে নেয়া নাচ, গনা ও সুর সকলকে প্রাণ ভরিয়ে আনন্দ উল্লাসে মাতিয়ে রাখে। এক পসরা বৃষ্টি ও শীতল বাতাসে, গরম চা আর ঝাল মুড়ি, শরিরটাকে চাঙ্গা করে তুলে, সেই সাথে মন্ট্রিয়ল এর শ্রেষ্ঠ কণ্ঠ শিল্পী রুমা কর, জুবায়ের টিপু ও সাল্মার গান মন ও প্রাণকে পাগল করে তুলে।

আকর্ষনীয় রাফেল ড্র এর নামীদামী ও মূল্যবান পুরষ্কারগুলো ছিল খাটি সোনার আংটি, নগদ ডলার, টেলিভিশন, কম্পিউটার, সহ প্রায়- ৩০টি পুরষ্কার।

স্পন্সরদের নাম- গোল্ডেন স্পন্সর- নজরুল আলম সানু, মুন্সী বশীর, মোঃ আমান উল্লাহ, সিহাব উদ্দিন, মামুন আহমেদ, হুরপরি মেলা, ইন্ডিয়া মাসালা, এলেন হেলাল, লোকমান হাকিম। জাহিদ খান, পার্ক ভিউ মহল, মুহিবুর আর আহমেদ (বাবু), নুর মোহাম্মদ চৌধুরী।
সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সমিতির সন্মানিত কর্মকর্তারা হলেন- মোঃ দিদারুল আলম মোস্তফা, জাকির হোসেন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এলেন হেলাল, মুক্তি জুধবা আ, স, ম, ইসমাইল, হায়দার কাসেম, মোঃ নুরুল আবসার, জয় দত্ত বড়ুয়া, উসমান হায়দার বাচ্চু, রণজয় বড়ুয়া, রাসেদ চৌধুরী, সুকান্ত বড়ুয়া, আশিস বড়ুয়া, মোঃ লোকমান হাকিম, সিরাজুল আলম সুমন, মোঃ ইমতিয়াজ রাজু।

সভাপতি- হাজী আবু ইউনুস সুজন, সাধারন সম্পাদক- মোঃ ইলিয়াস, বনভোজন কমিটির আহবায়ক- হাজী আবুল কালাম, বনভোজন কমিটির সদস্য সচিব- মোঃ আল আমিন শিকদার। বিভিন্ন সহজগিতায় ছিলেন- হাজী মোঃ নুরুন্নবি, মোঃ এম্ররান, কুসুম বড়ুয়া, বিধান বড়ুয়া, সত্যজিৎ বড়ুয়া, অলেট বড়ুয়া, দেবু বড়ুয়া, রাজীব বড়ুয়া, কাঞ্চন ভারতী, মোঃ মুরাদ, ইফতিয়ার হোসেন সাজু, ফারুক চৌধুরী, মোঃ আলি আজম, মোঃ মুসলিম উদ্দিন বাবুল, রোকেয়া বেগম, আয়েশা হামিদ, নাদের হামিদ, রুমা আবসার, লিয়াকত আলী, মমতাজ আলী, মোঃ সোয়েব।

Exit mobile version