অনলাইন ডেস্ক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান দুবে শুক্রবার সকালে আগামী ৫ বছরের জন্য ‘জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ কৌশল’ প্রকাশ করেছেন। এই পরিকল্পনার আওতায় কুইবেকে আত্মহত্যার প্রবণতা ২০২৬ সালের মধ্যে ১০% কমিয়ে বছরে ১ হাজার জনের কমে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল বরাদ্দ করেছে কুইবেক প্রশাসন। ২০১৯ সালে কুইবেকে ১ হাজার ১২৮ জন আত্মহত্যা করেছিল। অর্থাৎ প্রদেশটিতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ জন নিজেই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এখন এই সংখ্যা বছরে ১ হাজার জনের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এটিকে একটি উচ্চাভিলাসি লক্ষ্যমাত্র হিসেবে চিহ্নিহ্নত করে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে।

অন্য এক হিসাবে দেখা গেছে কুইবেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে বছরে ৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি আহত বা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে এই প্রদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা কমে আসা সত্বেও এই পরিসংখ্যান খুবই উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ অব কুইবেক। তাদের হিসাবে গত এক দশক ধরে কুইবেকে আত্মহত্যার হার প্রায় একই রকম আছে। এখন আগামী ৫ বছরে এটি ১০% কমিয়ে আনা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী দুবের প্রকাশ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এই পরিকল্পনায় সাংবাদিক, প্রচার মাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে কাজে লাগানো হবে। এছাড়া সরকার পরিবারের কোন একজন সদস্যের আত্মহত্যার কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারগুলোকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া কুইবেক প্রশাসন আত্মহত্যার কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনিরও পরিকল্পনা করেছে।

দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ অব কুইবেকের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করে থাকে ৫০ থেকে ৬৪ বছরের নারী-পুরুষেরা। এছাড়া পরিসংখ্যান বলছে আত্মহত্যার প্রবণতা মহিলাদের চাইতে পুরুষদের মধ্যে ৩ গুণ বেশি। সূত্র :রেডিও কানাডা