অনলাইন ডেস্ক : অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী ভারতয়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারে হুড়োহুড়ি করে চাল কিনছেন তারা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়’র সংখ্যা ৪০ লাখেরও বেশি। এদের মধ্যে অনেকে ভাত ছাড়া চলতে পারেন না। বেশ কিছু মার্কিন শহরে (টেক্সাস, মিশিগান, নিউজার্সি, আলাবামা, ইলিনয়স প্রভৃতি) সোনা মাসুরি চালের চাহিদা ব্যাপক। ফলে ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় সেসব শহরের মুদি দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা।

খাদ্যপণ্যটি কিনতে লম্বা লাইন ধরছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। এমনকি সেই লাইন দোকান থেকে বেরিয়ে রাস্তাতেও চলে যাচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন দোকানিরা। ক্ষণে ক্ষণে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, গাড়িতে করে কেজি কেজি চাল নিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ ভারতীয়রা। অনেকে আবার এক বস্তা ভোগ্যপণ্যটি পাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ভারতীয় প্রবাসীদের চাল কেনার হিড়িক পড়েছে কানাডাতেও। এক প্রবাসী বলেন, গত বছর গম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল ভারত। এবার করলো চালে।

তিনি বলেন, আমি গত ৪ বছর ধরে বাজরা খাচ্ছি। অনেক ভারতীয় গম খাচ্ছেন। তবে ধোসার জন্য আমার চাল দরকার হয়। এখন বেকায়দায় পড়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য ভারতীয়’র প্রধান খাদ্য ভাত। এছাড়া ইডলি, ধোসার মতো খাবার খান তারা। যেগুলোও চাল থেকে তৈরি হয়। ফলে তাদের মধ্যে চালের চাহিদা ব্যাপক। আমেরিকার মতো ইউরোপ ও এশিয়ায়ও একই দশা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক ব্যবসায়ী বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি দিন নাও থাকতে পারে। এছাড়া সুগন্ধি বাসমতি চালের রপ্তানি বন্ধ হয়নি।

দ্য রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত-সোনা মাসুরির মতো বিশেষ ধানের জাতগুলো এইচএসএন কোডের আওতায় আনা। সেই সঙ্গে সেগুলো রপ্তানির অনুমতি দেয়া।

এবার ভারতে খরিফ ধান বপনে দেরি হয়েছে। এরই মাঝে লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। এমন পরিস্থিতিতে দেশে চালের দাম যাতে না বাড়ে, সেদিকে নজর দিয়েছে মোদি সরকার। অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে পর্যাপ্ত চাল রাখতেই রপ্তানি বন্ধ করেছে তারা।