অনলাইন ডেস্ক : বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর একটি জুম অ্যাপ। অথচ শুরুর দিকে এটি কেও ব্যবহারই করেনি। করোনা মহামারি যেন আশির্বাদ হয়ে গেলো অ্যাপটির। এটি ব্যবহার করে প্রতিদিন ৩০ কোটির অধিক মিটিং, সেমিনার ও ক্লাস হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর এতেই কোটিপতি বনে গেলেন অ্যাপটির নির্মাতা এরিক ইউয়ান।
জানা যায়, বান্ধবী সেরির (বর্তমানে স্ত্রী) জন্য এই অ্যাপটি বানিয়েছিলেন এরিক। কারণ বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে ট্রেনে ১০ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে হতো তাকে। বেশি দূরত্ব হওয়ায় বছরে মাত্র দুইবার দেখা করতেন তারা। এই ট্রেনে যাওয়ার সময় একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন যে এমন কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে যে তার বান্ধবি যেখানেই থাকুক না কেন দেখা করা যাবে।
যেই ভাবা সেই কাজ, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এরিক। শুরুতে বেশ জটিলতায় পড়েছেন। ২ বছর ভিসার আবেদন করেও পাননি। আটবার ব্যর্থ হওয়ার পর নবমবারের চেষ্টায় তিনি সফল হন।
জুম অ্যাপটি বানানোর পর তিনি এর স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট সংস্করণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কোম্পানি তা প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর ২০১৩ সালে তিনি সীসকো ছেড়ে দেন। কাজ শুরু করেন কিছু সহকর্মী নিয়ে। সেই সময় ওয়েবএক্স, গুগল হ্যাংআউট এবং স্কাইপ চুটিয়ে ব্যবসা করছিল। তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে কাজে নামেন এরিক। অ্যাপটি নামানোর পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একসময় ছাড়িয়ে যান ওয়েবএক্স, গুগল হ্যাংআউট এবং স্কাইপকে।
জুমের বর্তয়ান সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের স্যান জোসে। আজ এরিক ভিডিও কনফারেন্সিং ক্লাউড সফটওয়্যার সংস্থা জুমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বান্ধবীকে দেখার তাড়না থেকে সৃষ্টি হওয়া দিবা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে প্রকাশিত ফোর্বসের শীর্ষ ৪০০ জন ধনীর তালিকায় ৪৩ নম্বরে আছেন এরিক।