ফরিদুর রহমান: মিছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সকালের দিকে আমাদের জন্য প্রতিদিনই ফ্রি টাইম, কাজেই ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াবার সুযোগ ছিল। আমরা চারজন সাগরতলের জলের জগত দেখতে বেরিয়ে পড়লাম সকাল সকাল। এবারে আর পথ বা বাহন ভুল করার কোনো অবকাশ ছিল না। হোটেল থেকে বেরিয়ে আধা ঘণ্টার কম সময়ে যেখানে পৌঁছে গেলাম তার দাপ্তরিক নাম ‘ওসানোগ্রাফিয়া দ্য ভ্যালেন্সিয়া’। ‘দ্য সিটি অফ আর্ট এ্যান্ড সায়েন্স’ এরই একটি অংশ এই বিশাল দৃষ্টি নন্দন ভবন কপ্লেক্স এবং জলজ ও জলচর প্রাণি এবং প্রকৃতির এক অনন্য সাধারণ পৃথিবী। ইওরোপে সামুদ্রিক প্রাণি সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় জলাধার রয়েছে এখানে।
অপু যখন লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করছিল, তখন প্রবেশ পথের পাশের ইনফরমেশন বোর্ড থেকে ভ্যালেন্সিয়ার এই অবশ্য দর্শনীয় আকর্ষণ সম্পর্কে একটা ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার সামুদ্রিক প্রাণির পাঁচশটিরও বেশি প্রজাতির বিচিত্র এক সংগ্রহশালা ‘ওসানোগ্রাফিয়া দ্য ভ্যালেন্সিয়া’ তথা ভ্যালেন্সিয়ার সাগর জগত। সাগর তলার পৃথিবী, থ্রি-ডি প্রাামাণ্যচিত্র এবং ডলফিনদের জলক্রীড়া দর্শন ইত্যদি মিলিয়ে তিনটি ভিন্ন মূল্যমানের প্রবেশপত্র রয়েছে এখানে। চলচ্চিত্রের মানুষ হয়েও নির্ধারিত সময়ের কারণে প্রামাণ্যচিত্রটি আমাদের বাদ দিতে হলো। তারপরেও টিকেটের দাম দাঁড়ালো জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকার কিছু বেশি। সাগর নদী, খাল বিল, ডোবা নালা থেকে হাজার হাজার প্রাণি ধরে এনে কাচের জলাধারে কৃত্রিম সমুদ্র বানিয়ে রীতিমতো জলের তলের পরিবেশ সৃষ্টি করে দর্শকের চোখের সামনে হাজির করাটা তো কম কথা নয়। কাজেই টিকেটের মূল্যের সাথে ধন্যবাদও ওদের প্রাপ্য। তবে বেচারা মত্সকূল, হাঙর কুমির, অক্টোপাস থেকে শুরু শামুক ঝিনুক বা রঙিন মাছের ঝাঁকের জন্য নিশ্চয়ই এটা খুব সুখের জীবন নয়।
মানুষ মানুষের কথাই ভাবে না, আর তো সামুদ্রিক প্রাণি! কাজেই আমরাও নির্দ্ধিধায় ঢুকে পড়লাম এখানে। শুরুটা হলো প্রায় সব পরিচিত প্রজাতির মাছ দিয়ে। ডানকানা, খলসে মাছের মতো রঙিন মাছ, রূপচাঁদা জাতীয় ছোট মাছ, ছুরি মাছ, ক্যাটফিস, জেলি ফিস, স্টার ফিস থেকে শুরু করে ঘোড়ার মতো চেহারার মাছগুলো শ্যাওলা এবং জলজ উদ্ভিদের প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও কোথাও বালি, নুড়ি পাথর ও প্রবালের নানা স্তরে সাঁতার কাটছে নাম না জানা নানা আকার অকৃতির নানা রঙের জলের প্রাণি। প্রাকৃতিক পরিবেশের বাইরের প্রাণি জগত, যেমন চিড়িয়াখানা, সাফারি এবং এ্যাকুরিয়াম আমার পছন্দের জায়গা নয়। কিন্তু এখানে নয়টি টাওয়ারে জলের তলায় বিশ্বের পরিবেশ এবং প্রতিবেশগত দিক থেকে বিপন্ন, বিলুপ্ত প্রায় জলজপ্রাণির পাশাপাশি ভুমধ্য সাগর, লোহিত সাগর, মেরু অঞ্চল এবং নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের নদ-নদী, সাগর ও নানা জলাধারের বৈচিত্র্যময় অসংখ্য প্রজাতির দেখা পাওয়াটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার। সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দৃশ্য বোধহয় বিশাল টানেলের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় পথের দুপাশে এবং মাথার উপরে দেখা মিলবে সাঁতার কেটে বেড়ানো হাঙর, অক্টোপাস, তিমিসহ সামুদ্রিক পুত্র কন্যাদের।
জলের তলার জগত থেকে বেরিয়ে যেখানে এলাম সেখানেও বিভিন্ন প্রাণির মধ্যে দেখা হলো শতবর্ষী কচ্ছপ, সি-লায়ন, সিন্ধু ঘোটক এবং পেঙ্গুইনের সাথে। অনেক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পেঙ্গুইন দেখেছিলাম প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে। এবারে একদল পেঙ্গুইনকে পেলাম কাচের দেয়ালের ওপাশে, তবে স্তরে স্তরে সাজানো বরফগলা পাথুরে পাহাড়ের গায়ে গায়ে। ছোট ছোট টিলার মাথায় সবুজ লতাগুল্ম আর পাহাড়ের পায়ে জলাভূমিতে বিচরণ করছে পেঙ্গুইনের দল। কয়েকটা সিন্ধুঘোটককে খাবার খেতে দিচ্ছিল নীল রঙের ইউনিফর্ম পরা ওসানোগ্রাফিয়ার দুজন কর্মী। সিন্ধু ঘোটকগুলোর সাথে নীল রঙের কর্মী দুজনের কথাবার্তা শুনে মনে হলো ওরা পরস্পরের বিশেষ পরিচিত এবং একে অপরের কথাও বেশ বুঝতে পারছে। দীর্ঘ নিরাপত্তা জাল দিয়ে ঘিরে রাখা সাদা বক, মাছ রাঙা জাতীয় পাখপাখালি পেরিয়ে এলাম গোলাপি পেলিক্যানের চত্বরে। ওদের জন্যেও কৃত্রিম জলাশয়, গাছপালা এবং পাথর সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ বড়সড় প্রাকৃতিক পরিবেশ। বহিরাঙ্গণের প্রায় সব স্পট থেকেই কোনো না কোনো দিক থেকে চোখে পড়ে মূল এ্যাকুরিয়ামগুলোর দৃষ্টি নন্দন টাওয়ার।
আমরা যখন ডলফিনের জলক্রীড়া দেখবার জন্যে বিশেষ সুইমিং স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছি, তখন একটা চমত্কার দৃশ্য দেখা গেল। পাঁচ ছয় বছর বয়সের একদল শিশুকে একটা লম্বা দড়ির সাথে যুক্ত করে সম্ভবত স্কুলের দু তিনজন শিক্ষিকা বলা যায় ছাগল টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো করে এক জায়গা তেকে আরেক জায়গায় নিয়ে চলেছেন। ওরা যাতে হারিয়ে না যায়, সেই জনেই এই ব্যবস্থা আর ছেলেমেয়েরাও মনে হলো বেশ আনন্দেই আছে। কাউকেই অনিচ্ছুক ছাগলের মতো হাত পা আছড়াতে দেখা যায়নি।
ডলফিনের খেলা শুরুর আগে দর্শক গ্যালারিতে বসে অপেক্ষা করতে হলো বেশ কিছুক্ষণ। যথা সময়ে গ্যালারি পূর্ণ হলো, আর সার্কাসে যেমন রিং মাস্টার থাকে তেমনি পাঁচজন এসে তাঁদের কসরত শুরু করলেন। তবে এদের রিং মস্টার না বলে রিং মিস্ট্রেস বলাই ভালো, কারণ পাঁচজনের তিনজনই ছিলেন নারী। দর্শকের করতালি এবং আনন্দ উল্লাসের মধ্যে চল্লিশ মিনিট ধরে চললো প্রশিক্ষিত ক্রীড়াবিদ ও শিক্ষিত ডলফিনের চমকপ্রদ সব খেলা। ডুব সাঁতার, ডিগবাগি, ফুটবলের খেলা এবং শূন্যে ভেসে উঠে কয়েকটা চক্কর দিয়ে আবার জলে নেমে আসার মতো সব মজার খেলা প্রশিক্ষকের নির্দেশ মেনে ঠিক ঠাক দেখিয়য়ে গেল ডলফিনগুলো। খেলা দেখাতে না পারলে ওদের এবং সেই সাথে ওদের গুরুদেরও যে খাবারের সংস্থান হবে না, তা ওরা নিশ্চয়ই জানে। ওসানোগ্রাফিয়া থেকে ফিরে হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। কাছাকাছি ভিয়েতনামি রেস্তোরায় লাঞ্চ করে একবারে হোটেলে ফিরলাম। বিকেলে যেতে হবে সাগুন্তো।
ভ্যালেন্সিয়া থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরের সাগুন্তো পৌঁছতে ত্রিশ মিনিটের বেশি সময় লাগেনি। প্রায় কুড়িজনের দলে ইন্দোনেশিয়ার পেনি সিলভানা পুত্রী, ভারতের পরশ রবিন এবং নিতিশ, পোল্যান্ডের দুজন এবং কিউবার কিউবার আরিয়ার রেমিরো, তার স্ত্রী আইমা জুনকো ছাড়াও বিদেশি নির্মাতা, আমাদের ইন্টারপ্রেটার ক্রিস্টিনা, ফিল্ম ক্রিটিক এবং ফিল্ম এ্যাক্টিভিস্টের সাথে আমরা বাংলাদেশের দুজন। আজ অবশ্য বিশেষ অতিথি ইতালির খ্যাতিমান অভিনেত্রী মারিয়া আমাদের সাথে আসেননি। সম্ভবত পাহাড়ের গায়ে অনেক উঁচুতে উঠে দুই হাজার বছর আগের পুরাকীর্তি দেখতে যাবার ব্যাপারে অনেকেই উত্সাহ বোধ করেননি। প্রত্নতাত্তি¡ক যে কোনো স্থাপনার ব্যাপারে আমার আগ্রহ আছে। কাজেই সাগুন্তা নগরীর ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়াটা রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে হলো। বাসটা আমাদের বহন করে যেখানে নামিয়ে দিল সেখান থেকে অনেকটা উঁচুতে দেয়াল দিয়ে ঘেরা দুর্গের অবস্থান। এতোটা উপরে উঠবো কেমন করে! গত কয়েক বছরে প্রচুর হাঁটাহাঁটি করে চরণ যুগলের বিশেষ করে হাঁটু মোবারকের যে অবস্থা হয়েছে, তাতে এরা খুব বেশি ভার বহন করতে চায় না। পাহাড়ের পায়ের কাছেই একটা রেলগাড়ি দাঁড়িয়ে আছে দেখে আশস্ত হলাম। এ রেলগাড়ি তো আসল রেলগাড়ি নয়। মোটরচালিত বাহনের উপরে রেল-ইঞ্জিনের খোলস পরানো ট্যুরিস্ট কার। হলুদ-সবুজ-কালো ইঞ্জিন আর পেছনে দুটো ট্রেলার নিয়ে আমাদের অপেক্ষায় থাকা রেলগাড়ি আমরা উঠে বসার পরপরই হেলেদুলে উর্দ্ভমুখে চলতে শুরু করলো।
রেলগাড়ির হাসিখুশি ধরণের দশাসই চালক স্থানীয় স্প্যানিশ ভাষায় বেশ জোর গলায় রস মিশিয়ে কিছু একটা বলছিলেন, তা এই দুর্গের ইতিহাস নাকি যাত্রীদের প্রতি কোনো সতর্কবার্তা তা বুঝতে পারলাম না। তবে আমরা যেমন চড়াইয়ের পথে উঠছিলাম, মনে হলো তিনি বলছেন, ‘শক্ত কইরা ধইরা বসেন। এইখান থিকা পড়লে কিন্তু হাড্ডিগুড্ডি আস্তা থাকবো না।’ পাহাড়ের পথে অর্ধেকটা উঠে যাবার পরেই একটা জায়গায় থেমে গেল আমাদের রেলগাড়ি। এবারে পায়ে হেঁটে উপরে ওঠার পালা।
সাগুন্তো ক্যাসেলের পথে কিছু দূর এগোবার পরেই হাতের বাঁয়ে চোখে পড়ে সাগুন্তো শহর। শহরের ঠিক মাঝখানে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা র্গির্জার চূড়া আর তার চারপাশে ছড়াানো ছিটানো পুরোনো ধাঁচের একতলা দোতলা ইটের বাড়িগুলো দেখে মনে হয় এক সময় এই গির্জাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল সাগুন্তা। তবে পৃথিবীতে আধুনিক ধর্মের আবির্ভাবের অনেক আগে অর্থাত দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগেও এই এলাকায় মানুষের বসবাস ছিল। তারই সাক্ষী হিসাবে এখানে ইবেরিয়ান, রোমান, মধ্যযুগীয় এবং ইসলামিক যুগের প্রত্নতাত্তি¡ক অবশেষ থেকে গেছে।
দুর্গের মূল অংশে পৌঁছাতে হলে আমাদের অনেকটা চড়াইয়ের পথ পেরোতে হবে। পেনি সিলভানার বয়স কম, পায়ের জোর বেশি, সে বেশ দ্রুতই উপরের দিকে উঠছিল। ওর কাছে জানলাম এর আগেও একবার সে এসেছে এখানে। দুপাশের দেয়ালের মাঝে যেখানে এক সময় দুর্গের প্রধান ফটক ছিল বলে মনে হয়, সেখানে দাঁড়িয়ে একটা গ্রুপ ছবি তোলার পরে আমরা ঢুকলাম মূল ক্যাসেলে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্গ এলাকা সাতটি অংশে বিভক্ত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্লাজা ডি আর্মস বা শান্তা মারিয়া ম্যাগডালেনা, এটিই দুর্গের প্রাচীনতম অংশ। আরব দখলদারিত্বের স্মৃতি থেকে গেছে উত্তর দিকের প্লাজা ডি কনজারো স্কয়ারে। এখানে প্রবেশের খিলানযুক্ত দরজা ছাড়াও নয়টি খুঁটির উপরে একটি প্রাচীন জলাধার এখনো টিকে আছে।
রোমান, আরব এবং খ্রিস্টিয় সভ্যতার হাজার বছরের ইতিহাসের মধ্যে আমরা ঘুরে বেড়ালাম প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে। আমাদের অনেকেরই হাতে ছিল ‘মিছে’ উত্সবের হাতি আঁকা গোলাপি পতাকা। মধ্যযুগের ধ্বসে পড়া দেয়ালের পাশে, ইসলামি ঐতিহ্যের ফটকের সামনে, রোমান থিয়েটারের সিঁড়িতে বসে ছবি তোলার ব্যাপারে সকলেই বেশ উত্সাহী। বৃত্তাকার থিয়েটার গ্যালারিটি মনে হলো সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গের কয়েকটি দেয়ালও সংস্কার করা হয়েছে। ১৯৩১ সালে সাগুন্তো ক্যাসেল জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
আমি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুপাশের পুরাকীর্তির মাঝের ঢালু পথ বেয়ে খানিকটা নিচে নেমে গিয়েছিলাম। জায়গাটা ভীষণ নির্জন, এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। হঠাত দেখলাম আমার সাথে কেউ নেই পথ ভুলে গেলে নির্ঘাত হাজার বছরের পুরোনো দুর্গে আটকা পড়ে একাকী রাত্রিবাস করতে হবে। তাড়াতাড়ি করে উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করলাম। পথের মধ্যে দেখা হলো দুই প্রকাণ্ড বিড়ালের সাথে। বিড়ালের পেছনে পেছনে হেঁটে যখন দলের দেখা পেলাম, তখন সকলেই আমার জন্যে অপেক্ষা করছে।
সাগুন্তো ক্যাসেল থেকে নেমে আবার সেই রেলগাড়িতে পাহাড়ের পায়ে নেমে এসে পৌছলাম সাগুন্তা শহরে। অতিথিদের স্বাগত জানাবার ব্যবস্থা দেখে মনে হলো সবগুলো শহরেই ব্যান্ড বাজিয়ে মিছিল করে উত্সব ভ্যেনুতে নিয়ে যাবার একটা ঐতিহ্য এরা তৈরি করে ফেলেছে। সামনে ব্যান্ডপার্টি তার পেছনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং উত্সব কর্মকর্তাদের সাথে দেশি বিদেশি সিনেমার মানুষ, ভাবতেই নিজেদেরকে চলচ্চিত্রের এক একজন বিশিষ্ট কেউ বলে মনে হয় নিজেদের। বাদ্য বাজনাসহ সাগুন্তোর শিল্প সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র ও মিলনায়তন সেন্ত্রো দে কুলতুরালমারিও মনরিয়েলে পৌঁছে দেখলাম ভ্যালেন্সিয়া থেকে জোসেফ আরবিয়লসহ উত্সব আয়োজকেরা সাগুন্তো এসে পৌঁছে গেছেন। এসেছেন প্রধান অতিথি ইতালির খ্যাতিমান অভিনেত্রী মারিয়া রোসারিয়া ওমিগ্গা। পোল্যান্ডের সংগ্রামী নেতা লেভ ওযালেসার জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওয়ালেসা’য় একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে নাম কুড়িয়েছেন মারিয়া।
সন্ধ্যায় সেন্ত্রো দে কুলতুরালমারিও মনরিয়েলে অতিথিদের সংক্ষিপ্ত ভাষণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং সবশেষে সাগুন্তোর মেয়র মহোদয়ের দেয়া নৈশ্যভোজ শেষে যখন ভ্যালেন্সিয়ায় ফিরে এলাম তখন রাত বেশ গভীর এবং ঠাণ্ডাও বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে অনেক বেশি। চলবে…