গত বছর চার লাখ এক হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে কানাডা

সুহেল ইবনে ইসহাক: গেলো বছর চার লাখ এক হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে কানাডা। যারা অস্থায়ীভাবে দেশটিতে বসবাস করছিলেন, তাদের গুরুত্ব দিয়েই এ অভিবাসন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রাসার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে কানাডা। আগামী বছরের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি। ২০২২ সালে ৪ লাখ ১১ মানুষকে দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দিতে চায় কানাডা সরকার।

কানাডার অর্থনীতির চালিকা শক্তি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অভিবাসীদের ওপর নির্ভরশীল। তবে ২০২০ সালে এই স্থায়ী অভিবাসন সুবিধা কমে গিয়েছিল। ওই বছর ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষকে এ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এর পেছনে মূল কারণ ছিল করোনাভাইরাসের মহামারি। এ মহামারির কারণে দেশটির সীমান্ত অধিকাংশ সময় বন্ধ ছিল।

এদিকে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁরা নতুন করে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ কানাডায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। গত ১০০ বছরের মধ্যে এতসংখ্যক অভিবাসীকে ১ বছরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়নি কানাডা।

এ প্রসঙ্গে অভিবাসনমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমরা একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। আমরা তা অর্জন করতে পেরেছি।’ ইমিগ্রেশন মন্ত্রী সিন ফ্রেসার জানান দেশটিতে অবস্থানরত অনেক শিক্ষার্থীও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন।তিনি বলেন,’কানাডা অভিবাসীদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এবং আমরা অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে যাব।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় আসেন ২০১৫ সালে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসন সুবিধা বাড়িয়েছেন। এ-সংক্রান্ত একটি লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছেন তিনি। কানাডার অভিবাসন নীতি অনুসারে, প্রতিবছর দেশটির মোট নাগরিক অনুপাতে ১ শতাংশ মানুষকে অভিবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। এ হিসাব অনুসারে প্রতিবছর ৩ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী নেওয়ার কথা কানাডার। তবে প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়াচ্ছে কানাডা সরকার।

নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী বছর ৪ লাখ ১১ মানুষকে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে।

কানাডার সরকার বেশ কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। এসব নথি অনুসারে, ছয় মাস ধরে কানাডায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার মহামারি আগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন ছিল, তার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে।