বিনোদন ডেস্ক : ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিএফডিসি।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঢাকাই ছবির চিত্রতারকা জায়েদ খানকে জড়িয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
যদিও নিহত শিমুর ভাই বোনের হত্যায় তার স্বামী নোবেলকেই দায়ী করছেন।
জায়েদ খান বর্তমান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এবারও একই পদে নির্বাচনে লড়ছেন।
তার দাবি— নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করছেন এবং তাকে শিমু হতাকাণ্ডে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ভোরেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। সেখানে নিজের বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য চলাকালীন লাইভেও আসেন এ নায়ক।
জায়েদ খান বলেন, শিমু হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি র্যা বকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা ইতোমধ্যে আসামিকে ধরে ফেলেছে। গতকাল বিকালে আমি যখন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, তখন শিমুর ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললেন— জায়েদ ভাই, কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাচ্ছি না। কলাবাগান থানায় জিডি করেছি। আপনার সহযোগিতা চাই। আমি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমার ভাই নাজমুলকে বিষয়টি জানাই। শিমুর ফোন নম্বর দিয়ে তার সর্বশেষ লোকেশনটা কোথায় তা জানতে বলি। এর পরেই নাজমুল জানান, কেরানীগঞ্জে শিমুর ডেডবডি পাওয়া গেছে।
জায়েদ খান বলেন, ঘটনার পর পর আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে— ১২ দিন আগে শিমুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
কেন তাকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে, প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচন সামনে রেখে এসব নোংরামি চলছে আর অপপ্রচার হচ্ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সঙ্গে এই হত্যার কি সম্পর্ক? অনেকেই শিল্পীর ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তাকে আমার বিরুদ্ধে বলার জন্য প্ররোচনা দিয়েছেন। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে অভিনেত্রী শিমুর লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন— সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ১৮ থেকে ২২টি সিনেমায় অভিনয় করেন রাইমা ইসলাম শিমু।