টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীতে আজ (১৭ মার্চ ২০২০) থেকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা’ চালু করেছে। এই ‘ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা’ অন্টারিও, সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং ম্যানিটোবা’য় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ও কানাডিয়ানরা কনস্যুলেট ওয়েবসাইট www.bdcgtoronto.ca -এর ‘কন্স্যুলার সেবাসমূহ’ ক্লিক করার মাধ্যমে যে কোন কন্স্যুলার সেবার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ডাকযোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা নিতে পারবেন। অনলাইন আবেদন থেকে শুরু করে সেবা পাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিতে আবেদনকারীরা প্রতিটি পর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে তাদের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। শারীরিক উপস্থিতি প্রয়োজন এমন কয়েকটি কন্স্যুলার সেবা যেমনঃ জীবিত থাকার সনদ, জরুরী ট্রাভেল পারমিট ব্যতীত অন্যান্য সেবা পেতে আবেদনকারীদের কনস্যুলেটে আসতে হবে না। উল্লেখ্য, বিদেশস্থ এই প্রথম কোন বাংলাদেশ মিশনে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা’ চালু করা হলো।
টরন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস- ২০২০ উদযাপনের সময় আজ ‘ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেন কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ও বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মিশনের এই প্রয়াস। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘একটি সুনির্দিষ্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা সেবা গ্রহীতাদের সেবাগ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও দ্রুত করবে।
‘ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা’ প্রধানমন্ত্রীর আহবানে শততম জন্মবার্ষিকীতে জাতির পিতার প্রতি বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল টরন্টোর বিনম্র শ্রদ্ধা ও কানাডায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী ও কানাডিয়ানদের জন্য মুজিববর্ষে বর্তমান সরকারের উপহার। কনসাল জেনারেল জানান যে, এর মাধ্যমে আবেদনকারী অতি দ্রুত কন্স্যুলার সেবা পাবেন এবং এই ‘ডিজিটাল কন্সুলার সেবা’ চুড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথেই অতি শীঘ্র বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মিশন তার পুর্বপরিকল্পিত বড় পরিসরের উদযাপন কমিয়ে এনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সাথে সীমিত আকারে বাংলাদেশ হাউজে দিবসটি উদযাপন করে। কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটি সূচনা করেন । এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশেষ দোয়া করা হয়।
এরপর “আমাদের বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন নিয়ে কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ দিবসটির তাত্পর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন এবং “ডিজিটাল কনস্যুলার সেবা” চালু করেন। কনস্যুলেট পরিবারের সদস্যের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সমাপ্তি হয়।