অনলাইন ডেস্ক : বার্তা সংস্থা রয়টার্স/ইপসসের এক জরিপে উঠে এসেছে, অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্টকে সর্বদা ফেডারেল আদালতের রায় মেনে চলা উচিত। তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশেষ করে আদালতগুলোকে সমালোচনা করেছিল যারা তার সরকারকে পুনর্গঠন করার প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করেছিল। এই জরিপে বিশেষত ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সদস্যরা, তার কিছু বিষয় সম্পর্কে আরও স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছেন। খবর রয়টার্স

জরিপে ৮২ শতাংশ উত্তরদাতা, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের বড় সংখ্যক সদস্য। একমত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ফেডারেল আদালতের রায় মেনে চলা উচিত, এমনকি প্রেসিডেন্ট যদি তা না চান তাও।

তবে, যখন ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করে কিছু মানুষের বিতাড়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ৭৬ শাতংশ রিপাবলিকান সদস্য একমত ছিলেন যে ট্রাম্প প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বিতাড়ন অব্যাহত রাখুক, আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও। জরিপে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এপন্থা মাত্র ৮ শতাংশ সমর্থন করেছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসন এবং আদালতের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাত ছিল অভিবাসন ইস্যুতে। ট্রাম্প প্রশাসন একটি ১৮ শতকের আইন ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলা গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছিল, তবে একটি আদালত ওই বিতাড়ন স্থগিত করার আদেশ দেয়। প্রশাসন সেই আদেশ অমান্য করে দুইটি বিতাড়ন ফ্লাইট চালাতে থাকে, যা প্রশ্ন তুলে যে, তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে জরিপে পাওয়া গেছে ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা তার হোয়াইট হাউসের কার্যকলাপ নিয়ে সন্তুষ্ট, যেখানে ৪৪ শাতংশ পূর্ববর্তী জরিপেও একই মত পোষণ করেছিলেন। তবে ইমিগ্রেশন নিয়ে তার অনুমোদন রেটিং ৪৯ শতাংশ। যা পূর্ববর্তী জরিপের চেয়ে সামান্য কম। অন্যদিকে অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে তার রেটিং কম। যেখানে ৩৮ শতাংশ, ৩৪ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ যথাক্রমে।

এই জরিপটি ১ হাজার ৩০ জন মার্কিন নাগরিকের মধ্যে অনলাইনে পরিচালিত হয় এবং এর ত্রুটি মার্জিন ছিল প্রায় ৩ শতাংশ পয়েন্ট।