অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের গর্বের ধন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ অকার্যকর সমরাস্ত্র হিসেবে প্রমাণ করেছে।

কারণ তাদের ড্রোন ও ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ ইসরায়েলের এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোম এভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর সিএনএনের।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সত্যিকার অর্থেই উদ্বিগ্ন। কারণ লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধ বেধে গেলে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরাইলে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি বিশেষ করে আয়রন ডোমকে অকার্যকর করে দিতে পারে।

আয়রন ডোমের ব্যাটারিগুলো হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বিশাল ভাণ্ডারের আওতার মধ্যে রয়েছে।

লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছেন, ইসরায়েলের অজেয় থাকার কাল্পনিক দূর্গ তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত তার বিশাল সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটি অংশ ব্যবহার করেছে মাত্র এবং তার হাতে এমন কিছু চমক রয়েছে যা যুদ্ধের ময়দানে প্রদর্শন করা হবে।

হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের আয়রন ডোমের ব্যাটারিগুলো লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার সফল হামলা চালিয়েছে।

এদিকে হিজবুল্লাহ গত মঙ্গলবার সাড়ে ৯ মিনিটের একটি ভিডিও প্রদর্শন করেছে। ‘হুদহুদ যা বহন করে এনেছে’ শিরোনামের ভিডিওটিতে ইসরাইলের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা ড্রোন চালিয়ে তার মাধ্যমে তোলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি দেখানো হয়েছে।

এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা আয়রন ডোমের ব্যাটারি এবং হাইফা সমুদ্রবন্দরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনা।

ইসরাইলের এসব স্পর্শকাতর স্থাপনার ওপর দিয়ে বিনা বাধায় হিজবুল্লাহর ড্রোন উড়ে যাওয়ার ঘটনায় ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো চরম বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

আয়রন ডোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে হিজবুল্লাহর ড্রোনের উপস্থিতি টের পেল না তা নিয়ে তেলআবিবের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকা ও জর্ডান নদীর পশ্চিমতীরের নিরস্ত্র ও নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর মোকাবিলায় গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর পাশাপাশি লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ঘোষণা করেছে- তারা ইসরায়েলের এই অপরাধযজ্ঞের প্রতিশোধ নেবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি গণহত্যার শিকার হয়ে গাজায় অন্তত ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।