অনলাইন ডেস্ক : ‘সাত দিন আগে মসজিদের প্রবেশ কক্ষের মেঝে দিয়ে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল। ধারণা করছিলাম যে, এই গ্যাস পাশের গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বের হচ্ছে। তাই নারায়ণগঞ্জে তিতাসের আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে গ্যাস লাইন সরিয়ে ফেলার মৌখিক আবেদন করি। অফিসের এক কর্মকর্তা গ্যাস লাইন সরানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চান।’

এমন অভিযোগ করেন বিস্ফোরণে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হওয়া বায়তুস সালাত জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর মিয়া। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় গফুর মিয়া এই অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে করেন।

তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে ৮ শতাংশ জমির ওপর চার তলার ভিত্তি দিয়ে এই মসজিদটির নির্মাণকাজ হয়। শুরুতে এক তলা নির্মাণকাজ শেষ হয়। পর্যায়ক্রমে তা দোতলা করা হয়। মসজিদের এই নির্মাণকাজ এলাকাবাসীর দানের টাকায় করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে মেঝের টাইলস দিয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। ঐ সময় তিতাসের অফিসে অভিযোগ দিয়েছিলাম; কিন্তু তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিল।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জে তিতাসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মফিজুল ইসলাম বলেন, বায়তুস সালাত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতির এই অভিযোগ মিথ্যা। মসজিদে গ্যাস লিকেজ হওয়া বা গ্যাস জমে থাকার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ তিতাসের অফিসে দেয়নি। তাই ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।