জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা : উনিশশো পঁচাত্তর সালে অরুণাচল প্রদেশের তুলুং লা’তে চীনা সৈনিকদের অ্যাম্বুশে প্রাণ হারিয়েছিল আসাম রাইফেল্স-এর চার ভারতীয় সেনা। পঁয়তাল্লিশ বছর পরে পূর্ব-লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সৈনিকদের হাতে প্রাণ হারালো পাঁচ ভারতীয় সেনা। এদের মধ্যে একজন অফিসার পর্যায়ের। দু’দেশের তুমুল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গালওয়ান ভ্যালি। সীমানা পেরিয়ে পাথর ও রড দিয়ে সংঘাত চলে। ভারতীয়দের দাবি, এই সংঘর্ষে মারা গেছে চীনের কয়েকজন সেনা। চীন থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমস জানাচ্ছে, ভারত হানাদারের ভূমিকা নিয়েছিল। চীন এর বিদেশ মন্ত্রকের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। উল্লেখযোগ্য, গত মে থেকে ভারত- চীন সংঘাত চলছে পূর্ব-লাদাখ সীমানায়। পাঁচ এবং ছয় মে লাদাখের পাঙ্গস সোতে চীনা বাহিনীর আগ্রাসন রুখতে তীব্র সংঘর্ষ হয়। কিন্তু, সেবার কেউ হতাহত হয়নি। এবার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
মঙ্গলবার সারাদিন লাদাখে ভারতীয় ও চীনা বাহিনীর অফিসাররা উত্তেজনা প্রশমনে বৈঠক করেন। কিন্তু, পূর্ব-লাদাখে মঙ্গলবার ও অসন্তোষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। ভারত-চীন এই সংঘর্ষের বাতাবরণ যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সেই দিকে দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। যে চৌদ্দ নম্বর পেট্রল পয়েন্টে সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।