অনলাইন ডেস্ক : একুশে আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার দায়ভার খালেদা জিয়াকেও বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এই ঘটনাগুলোর নেপথ্যের কারিগর এবং তাদের উদ্দেশ্যও ছিল একই। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সেদিন এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছিল তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কোনোভাবে এর দায় এড়াতে পারেন না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রয়াত আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব লায়ন মশিউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
হানিফ বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা জানত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বেঁচে থাকলে এই হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে তাদের স্বপ্ন পূরণ কখনোই হবে না। তাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করতে হবে। তাই শুধু ২১ আগস্টই নয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বহুবার চেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপিকে বহুবার বলেছি ২১ আগস্ট ঘটনার সঙ্গে আপনারা জড়িত, তার বহু প্রমাণ রেখে গেছেন। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমা হয়তো করতে পারে, কিন্তু স্বজন হারানোরা ক্ষমা করবে না। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি যদি জড়িত না থাকে তাহলে কেন এত নাটক মিথ্যাচার করা হলো- এমন প্রশ্নও রাখেন হানিফ।