অনলাইন ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিটি স্ক্যান করানোর জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, আজকে ম্যাডামের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে। সেজন্য এ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ম্যাডাম কী হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেবেন, নাকি কাল (বুধবার) বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত হবে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে পর। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বিস্তারিত জানাবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামের সঙ্গে তার গৃহকর্মী ফাতেমা ও অন্য একজন নারী স্টাফ হাসপাতালে থাকবেন।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে খালেদাকে বহনকারী গাড়িটি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে গাড়িটি হাসপাতালে পৌঁছায়।

এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেগুলো শেষ হলে তিনি আবার রাতেই বাসায় ফিরে আসবেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামের সঙ্গে গাড়িতে আছেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা। এছাড়া তার সঙ্গে হাসপাতালে যাচ্ছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী। ফিরোজাতে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে গত শনিবার খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানিয়ে তার চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী গণমাধ্যমে বলেন, তার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।

গত ১৫ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তারপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনিসহ চারজন করোনা আক্রান্ত আছেন।