শাহনুর চৌধুরী : ট্রুডো সরকারের নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কে শিগগিরই ধারণা পাবে কানাডাবাসী। আগামী ১৪ ডিসেম্বর হাউজ অব কমন্সে অটোয়ার ‘অর্থনৈতিক আপডেট’ উপস্থাপন করবেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। কমন্সের অধিবেশনে শীতকালীন ছুটি শুরুর পূর্বেই তিনি এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সের অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতাকালে তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি বছর শেষ হয়ে আসছে। দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে ১৪ ডিসেম্বর বিস্তারিত প্রতিবেদন ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মহামারী নির্মূল করা এবং জনগণের মাথার ওপর থেকে ‘মূল্যস্ফীতির’ চাপ কমানো। এই বিষয়গুলো সামনে রেখেই ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড’ পরিচালিত হবে। সা¤প্রতিক সময়ে বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে চলমান মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়া ও যাতায়াত খরচ বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে বক্তৃতা দিয়ে আসছেন। তাদের অভিযোগ সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কয়েক দশকের মধ্যে রেডর্ক ছাড়িয়ে গেছে।
পরিসংখ্যান কানাডার মতে, গত অক্টোবরে কানাডার মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪.৭ শতাংশ। ২০০৩ সালের ফেব্রæয়ারির পর এই হার সর্বোচ্চ। এবারের মূল্যস্ফীতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভ‚মিকা রেখেছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। ব্যাংক অব কানাডার মতে, শুধুমাত্র গ্যাসোসিলের মূল্য বৃদ্ধির জন্যই মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়েছে প্রায় ১.৫ শতাংশ।
এদিকে গত শুক্রবার অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের শেষে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে বাজেট ঘাটতি ছিল প্রায় ৬৯ বিলিয়ন ডলার। মন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড সেদিন দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে পরামর্শ চাওয়ার জন্য কানাডার বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনীতিবিদদের সাথে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি ব্যাংক-বীমা সংস্থাগুলির ওপর করের হার ১৫% থেকে বাড়িয়ে ১৮% করার প্রস্তাব করেন। কনজারবেটিভ নেতা এরিন ওতুলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, অর্থমন্ত্রী দেশবাসীর সামনে সঠিক চিত্র উপস্থাপন করছেন না। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বরে করোনা পরবর্তী প্রথম অর্থনৈতিক আপডেট উপস্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড। সে সময় তিনি ৩৮১.৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি অনুমোদন করেছিলেন। সূত্র : রেডিও কানাডা