অনলাইন ডেস্ক : ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ড শহর থেকে গণহারে অভিবাসী তাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শহরটির বেশির ভাগ অভিবাসী হাইতির। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী নির্বাসন হতে চলেছে এবং স্প্রিংফিল্ড ও অরোরা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করব।’

গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, স্প্রিংফিল্ড শহরের অভিবাসীরা পোষা কুকুর ও বিড়াল খেয়ে ফেলছে।

যদিও এবিসি আয়োজিত বিতর্কের সঞ্চালক ডেভিড মুইর তখন বলেন, স্প্রিংফিল্ড শহরের মেয়র এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে নিজের গলফ কোর্স থেকে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি ওই সব অভিবাসীকে ভেনিজুয়েলায় ফেরত পাঠাবেন। স্প্রিংফিল্ড শহরের জনসংখ্যা ৫৮ হাজার। গত কয়েক বছরে কয়েক হাজার হাইতির অভিবাসী এই শহরে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এ কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেছেন ওহাইওর রিপাবলিকান গভর্নর। তবে হাইতি থেকে আগত বেশির ভাগ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বাস করছেন এবং তাদের কাজের অনুমতি আছে।

স্প্রিংফিল্ডের মেয়র, পুলিশপ্রধান এবং ওহাইওর গর্ভনর মাইক ডিওয়াইন বলেছেন, অভিবাসীরা পোষা প্রাণী চুরি করে খেয়ে ফেলছে—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য মেলেনি। এ ছাড়া বোমা হামলার হুমকির জেরে স্প্রিংফিল্ডের বেশ কিছু সরকারি কার্যালয় ও স্কুল গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও অন্যান্য রিপাবলিকানের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, স্প্রিংফিল্ডের হাইতি অভিবাসীরা এই মুহূর্তে আক্রমণের কবলে রয়েছেন। এটা একেবারেই ভুল। এটা থামাতে হবে। ট্রাম্প যা করছেন, তা বন্ধ করতে হবে।

সূত্র : সিবিএস নিউজ, বিবিসি