Home কলাম সেনা প্রশাসকগণ জানোয়ারের মতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন?

সেনা প্রশাসকগণ জানোয়ারের মতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন?

সোনা কান্তি বড়ুয়া: বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধুকে কাফনের ভালো কাপড় দিল না! বাঙালি জাতির পিতা বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন জানোয়ারের মতো হিংস্রতায় সেনা নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল! বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ‘৭৫ এর হাতিয়ার’ বলতে মূলত এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার কুশীলবদেরই বোঝানো হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি লেগেছিল কেন? শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্। বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ কেড়ে নিলো! বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি মারার চরম নৃশংসতার ছবি। বঙ্গবন্ধুর দাফনের চারদিনের দিন টুঙ্গিপাড়ার বাড়ীর মসজিদে মিলাদ পড়তে দেয়া হয়নি পুলিশ বাধা দেয় কেন? বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগনের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না, যিনি জীবনের ১৩টা বছর জেলখানার সেলে কাটিয়েছেন জাতির অধিকার আদায় করতে! সেই জাতির পিতাকে বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন সেনা নামিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মর্মভেদী শতবর্ষের আলোকে বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধুকে শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫)! জাতির জনক এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনকে কঠোর হতেই হবে! স¤প্রতি এই বিষয়গুলো আবারো আলোচনায় এসেছে একটি স্লোগানের কারণে। কারণ- বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ’৭৫ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ শীর্ষক ধ্বংসাত্মক স্লোগানের মাধ্যমে আবারো দেশে হত্যাযজ্ঞ ও নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই স্লোগানের মোটিভ খুবই স্পষ্ট এই কারণে যে: এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাকেই ইঙ্গিত করা হয়। ’৭৫ এর হাতিয়ার’ বলতে মূলত এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার কুশীলবদেরই বোঝানো হয়।

ক্ষমতার লোভে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট অকৃতজ্ঞ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে রাজনীতির প্রতিটি ফ্রেমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তাঁর হাতের মুঠোয় ছিল! বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জনতার বুকের ওপর বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগনের খড়গ মুখ খুলবে কে? জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং ১৯৭৫সালের ১৫ই আগষ্ট বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন! এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে! হিংসায় উন্মত্ত রাজনীতিতে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য ধর্মের প্রতি উগ্র জামায়াতের ভয়ঙ্কর বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধ জামায়াতের অধর্ম!

বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধুকে কাফনের ভালো কাপড় দিল না! কাফনের কাপড় ভালো কাপড় না থাকায় শেখ মুজিবেরই দান করা রিলিফের কাপড় থেকে এক খন্ড কাফনের কাপড় জুটল শেখ মুজিবের কপালে। মুবিনুল হক চৌধুরী, (সম্পাদক ও প্রকাশক, চট্টগ্রাম নিউজ মিডিয়া, 16 August 2021) বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর লাশ ঢাকা ছিল সাদা চাদর দিয়ে। পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জী, সাদা পাঞ্জাবী গায়ে ছিল। তারপর জানাজা হয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তার কবর পাহারা দেয়ার জন্য সরকার ১০ / ১৫ জন পুলিশ মোতায়েন করেন। এরা দিবা-রাত্র পালা করে পাহারা দিত। বাড়ীর লোক ছাড়া কাউকে বাড়ীতে ঢুকতে দেয়া হত না। কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর গৃহে একজন মৌলভী ডেকে মিলাদ পড়ানো হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ার অন্যান্য মসজিদে মিলাদের ব্যবস্থা হয়েছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার সিংহাসনটিকে কেড়ে নিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রষ ষ্ঠ্রদ্রোহী বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন জানোয়ারের মতো হিংস্রতায় সেনা নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল!

মৃত্যুঞ্জয়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন এদেশের মানুষের জন্য। রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। আমিও বাবার মতো সেই রক্ত দিতেই বাংলাদেশে পা রেখেছি। মৃত্যুকে সামনসামনি দেখেছি। কিন্তু কোনোদিন আমি ভীত হইনি। আমার একটাই চাওয়া এবং একটাই প্রতিজ্ঞা- যে আদর্শ নিয়ে বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন, স্বাধীনতার সেই আদর্শ বাংলার মানুষের পৌঁছে দেবো।” ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতের পর বাংলাদেশে ইতিহাসের আর এক কালো দিন ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের উত্থানের এক কলঙ্কিত অধ্যায় বিশ্বমানবতার রক্তে কোথাও জাত ধর্ম লেখা নেই।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ঘটানো ও ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে নাগরিক উদ্যোগ জোরদার করা দরকার! খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতার এমন বক্তব্যে জামায়াত নেতারা উত্সাহিত। এটাকে তাঁরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। জামায়াত নেতারা মনে করছেন, সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য একটাই; তা হচ্ছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। এ লক্ষ্যে রাজপথে সব জোট বিলুপ্ত করে যদি যুগপত আন্দোলনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাতে সমর্থন থাকবে জামায়াতের। এ প্রক্রিয়ায় বিএনপির সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছেন। এ লক্ষ্যে শুধু দু’দলের মধ্যেই যোগাযোগ সীমাবদ্ধ না রেখে বিএনপির ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি হত্যাকান্ডের পর, এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাযজ্ঞ প্রসঙ্গ এবং সেনা প্রশাসকগনের বেয়াদপি.অত্যন্ত স্পর্শকাতর! প্রশাসনকে কঠোর হতেই হবে! স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে জামায়াতকে নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি।
জেঃ জিয়া এবং জেঃ এরশাদ সহ জন প্রতিনিধিগণ বাহাত্তরের সংবিধানকে বার বার অনেকবার হত্যা করে নিজেদের রাজনৈতিক লোভ লালসা চরিতার্থ করতে ইসলাম ধর্মকে অপব্যবহার করে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ কেড়ে নিলো গায়ে ১৮টি গুলি মারার চরম নৃশংসতার ছবি। যেখানে ভেসে ওঠে বীভত্স অত্যাচার, খুন, গণহত্যা, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা’সহ পুরো পরিবারকে গুলি মারার চরম নৃশংসতার ছবি। যা জানান দেয়, এই সব অপরাধের বীজ খুব নিঃশব্দে বোনা হচ্ছে বাংলাদেশেরই রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের সামরিক প্রশাসকগন হিংসাদীর্ণ গোপন মনোভূমিতে। রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের সামরিক প্রশাসকগন ইসলাম ধর্মকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করল!

মানবাধিকারের আলোকে অকৃতজ্ঞ জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনে ১৯৭০-৮০-র দশকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ সরবরাহ পেয়েছে; এসব অর্থ-সম্পদ তারা সংশ্লিষ্ট আর্থ-রাজনৈতিক মডেল গঠনে বিনিয়োগ করেছে; অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফা করছে; আর এ মুনাফার একাংশ তারা ব্যয় করছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে, একাংশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রসারে, আর (কখনো কখনো) একাংশ নতুন খাত-প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে।”

গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা।

৭১-এর পরাজিত অকৃতজ্ঞ ধর্মান্ধ শক্তি এমন এক অভিশাপ যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই এক দল বিহারীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো। ঠিক ৫০ বছর পর উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো! এই উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে হাত দিলো! ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশে শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের অকৃতজ্ঞ সামরিক প্রশাসকগণ রাষ্ট্রদ্রোহী ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামরিক প্রশাসকগণ এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র ছিল কেন? জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং প্রশাসকগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাষ্ট্রদ্রোহী ছিলেন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে! বাংলাদেশে জাতির পিতৃ হত্যা ও বাহাত্তরের সংবিধান হত্যা মহাপাপ! বাংলাদেশের জন্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন!

আওয়ামি লীগ (9 June 2022) reported “৭৫-এর হাতিয়ার: স্লোগান নয়, জাতীয় হুমকি! ৭৫-এর হাতিয়ার বলতে মূলত রাজনৈতিক কিছুই নয়, বরং খুন-হত্যা ও নাশকতার ভয় দেখানো হয় শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতিকে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা, জাতীয় নেতাদের বর্বরভাবে বন্দি অবস্থায় খুন করা এবং সেনাবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশবিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বিএনপি। এসব ভয়াল ঘটনার কথা জাতিকে মনে করিয়ে দিয়ে, নতুন করে হিংস্র ঘটনা বা নাশকতা ঘটানোর হুমকি দেওয়া হয় এই স্লোগানের মাধ্যমে।

‘৭১ এর হাতিয়ার’ বলতে দেশের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের মতো করে জেগে ওঠার বা জাতীয় জাগরণের যে বার্তা দেওয়া হয় তরুণ প্রজন্মকে, ঠিক তার বিপরীত কিছু বোঝাতেই ‘৭৫-এর হাতিয়ার’ টার্মটি চালু করেছিল দেশদ্রোহীরা। ৭১ এর হাতিয়ার বলতে আমরা যেমন বুঝি- আক্রমণকারী পাকিস্তানি জান্তাদের মতো শক্তিশালী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও বীর বাঙালি বিজয় লাভ করতে পারে, ৭১ এর হাতিয়ার অর্থ অদম্য ও অজেয় বাঙালির স্বরূপ তুলে ধরা। তেমনি ৭৫ এর হাতিয়ার বলতে বোঝানো হয়- ষড়যন্ত্র, খুন, নাশকতা; দেশপ্রমিক সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার মাধ্যমে দেশজুড়ে ত্রাস চালানো, দেশের মানুষকে দাসের মতো জিম্মি করে রাখার স্বরূপই ভেসে ওঠে এই পঙ্কিল শব্দগুলোর শব্দ কানে ভেসে এলে।

১৯৭৫ সাল বাঙালির জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ অধ্যায়। ৭৫ এর অপশক্তিকে আবারো ডাক দিয়ে যে স্লোগান দেয় দুর্বৃত্তরা, তা কোনো জাতির সভ্য সন্তানের কাজ নয়। এটি প্রকৃতপক্ষে কোনো স্লোগান নয়, এই বাক্যগুলো মূলত বর্বর খুনিদের জান্তব হুংকার। এরা দেশদ্রোহী। এই দেশের মাটিতে এদের নিষিদ্ধ করা উচিত।”

পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই খুনিরা নিজেদের সংগঠিত করে এবং এরশাদের সময় ফ্রিডম পার্টি গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জঙ্গি মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস রাজনীতির ইসলামীকরণ বাংলাদেশেকে গ্রাস করে ফেলেছে। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়ার মদতপুষ্ট হয়ে দেশজুড়ে আবারো তাণ্ডব চালায় এই চক্রটি। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি লোক দেখানো এক ভোটের মাধ্যমে এই খুনিদের দলকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসার সুযোগও করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

৭ কোটি মানুষকে মাথা তুলে বাঁচতে শিখান যিনি, ইয়াসির আরাফাত, ফিদেল ক্যাস্ট্রোরা যাকে নিজেদের অনুপ্রেরনা মানত, সেই মানুষটার জানাজা পড়ল মাত্র ১৬ / ১৭ জন। এলোনা কোন বিশ্বনেতা! বঙ্গবন্ধু মানেই কথায় গর্জে ওঠা আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন যেন অনেকটা গ্রিক ট্র্যাজেডির মতোই তাঁর জীবন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জঙ্গি মৌলবাদী ও বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগনের সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস রাজনীতির ইসলামীকরণ বাংলাদেশেকে গ্রাস করে ফেলেছে।

এই আকস্মিক আঘাতে স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজ থমকে যায়। এরপর একই বছরের ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় চার নেতাকে। এরপর ৭ নভেম্বর সেনানিবাসেও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সেই খুনি চক্রটি। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডারসহ সেনাবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় সেদিন। এমনকি সেক্টর কমান্ডারদের স্ত্রী-সন্তানরাও রেহাই পায়নি সেই বর্বরতা থেকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশের কিছু লোকের জানোয়ারের মতো হিংস্রতা রয়েছে!

কিন্তু দেশ সর্বদা মনে থাকে এবং এখন আমাদের দেশের ট্রাজেডির কথা লিখছি।
২০০৪ সালের একুশে আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামি লীগকে বাদ দিয়ে অকৃতজ্ঞ বিএনপি ও ধর্মান্ধ জামাতের রাজনীতি। কিন্তু যেমন বাবা বঙ্গবন্ধু, তেমনি মেয়ে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। দূর্গম গিরী কান্তার মরু দুস্তর অসম্ভবের পারাবার জয় করে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ আবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ধ্বজা উড়িয়ে আমাদের স্বাধীনতার অভ্রভেদী রথের সার্থক সারথী পদে সমাসীন। জয় বাংলা! বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করতে জোট সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক সূতোয় বোনা রক্তাক্ত ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠের রক্ত ঝরা প্রতিটি গ্রেনেডের চাদর। সেই চাদরের ভাঁজে ভাঁজে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ বধের নামে বীভত্স হত্যালীলা। বাংলাদেশে বিগত জোট সরকার ২০০৪ সালের একুশের আগষ্ঠের হত্যাকারীদের সম্পর্কে সবকিছু জেনে ও না জানার নাটক করতে সন্ত্রাসের রাক্ষসগণকে ধর্ম ও রাজনীতির বোরকায় লুকিয়ে রেখেছে। জনতার অদৃষ্ঠের নির্মম পরিহাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ঠ্রদ্রোহী জামাতের সাথে রাজনীতির জোট বেঁধে ছিল এবং বিগত জোট সরকার দেশের রক্ষক হয়ে ২১শে আগষ্ঠ ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লীগের নাম নিশানা মুছে দিতে দেশের ভক্ষক হ’ল কেন? জনতা সহ আমরা বিগত জোট সরকারের বিচার চাই।

২১ শে আগস্ট, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের উত্থানের এক কলঙ্কিত অধ্যায়! বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা চালায় এই দানবীয় হত্যাযজ্ঞ। জাতির সামনে আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধস্পৃহা। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ই খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র গ্রেনেড দিয়ে এই ভয়াল ও বীভত্স হামলা। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে সেদিন দেশরতœ শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ঘাতকচক্র।

জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ সমকালকে বলেছেন, (June 5) বিএনপির সংলাপকে ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে তাঁরা ইতিবাচক রূপেই দেখছেন। তাঁর ভাষায়, ‘দেশের রাজনীতিতে কৌশলের নামে এত অপকৌশল রয়েছে যে সব সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এর পরও আমরা বিশ্বাস করি, দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে কোনো দলই বাইরে থাকবে না।’

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages)“ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি !

Exit mobile version