অনলাইন ডেস্ক : বন্যায় আমন ও আউশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারলে চাল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, আপাতত দেশে খাদ্য ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই। চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও আমনের উৎপাদন পর্যালোচনা করে প্রয়োজন হলে সীমিত আকারে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রোববার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। আমন মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রবি মৌসুমের সব ফসলে উৎপাদন বাড়াতে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে করোনা, আম্পান ও চলমান বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার মনমানসিকতা সবার নেই। একটি গ্রুপ রয়েছে সুযোগ পেলেই চালের দাম বাড়িয়ে দেয়, কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করে। কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সরকারি মজুদ সঠিক পরিমাণ রাখতে হবে।

ওয়েবিনারে বলা হয়, দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়ে ৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে। এবার বোরো ধান চাষ লাভজনক ছিল। ধান-চাল মজুদের প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকলেও সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হয়নি। সরকার ঘোষিত দামে চাল বিক্রি করে মিলাররা লাভবান হচ্ছেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজাহান কবীর। মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। এছাড়া খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারি, এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।