অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলাকে দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই হামলা “বন্ধ করতে হবে।” খবর আল আরাবিয়ার।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক ঐক্য এবং অখণ্ডতা অবশ্যই পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং আগ্রাসনের সব কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

এই মাসের শুরুতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলার উদ্দেশ্য কৌশলগত অস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। ইসরায়েলি সৈন্যরা সিরিয়া এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির মধ্যে একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে চলে গেছে, সেটি ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরে তৈরি। ওই অংশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের নিয়মিত টহল দেয়।

যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সীমিত এবং অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণনা করেছে, তবে কখন তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।

এদিন গুতেরেস বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ছাড়া অন্য কোনো সামরিক বাহিনী সেখানে থাকা উচিত নয়। ইসরায়েল এবং সিরিয়াকে ১৯৭৪ সালের বাহিনী বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তির শর্তাবলী বজায় রাখতে হবে, যা পুরোপুরি বলবৎ থাকবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সিরিয়ায় একটি “অন্তর্ভুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ” রাজনৈতিক স্থানান্তর এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানবিক সংকট মোকাবেলায় সহায়তা পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে। এটি একটি নিষ্পত্তিমূলক মুহূর্ত, আশা এবং ইতিহাসের একটি মুহূর্ত। তবে একটি বড় অনিশ্চয়তারও।

গুতেরেস আরও বলেছেন, কিছু মানুষ তাদের নিজেদের জন্য পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সিরিয়ার জনগণ যারা এত কষ্ট করেছে তাদের পাশে দাঁড়ানো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সিরিয়ার ভবিষ্যত অবশ্যই তার জনগণ দ্বারা, তাদের জনগণের জন্য, আমাদের সবার সমর্থনে গঠন করতে হবে।