স্বপন কুমার সিকদার : “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী
ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে
তোমার দুয়ার আজি ভরে গেছে সোনার মন্দিরে”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘এসো শারদ প্রাতের পথিক, এসো শিউলি বিছানো পথে,
এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে, এসো অরুণ-কিরণ রথে।’
– কাজী নজরুল ইসলাম
আমাদের জীবন থেকে অশুভ বা অসুর শক্তি দুরীভূত করে শুভ বা সুর শক্তির প্রতিষ্ঠা করা দুর্গা পূজার চিরন্তন লক্ষ্য। জীবন মানেই সংগ্রাম। জীবনে ভগবাননের তথা স্রষ্টার আরাধনা ও সান্নিধ্য থাকলে জীবন হয় নির্মল ও আনন্দময়। জীবনে আমরা কল্যাণই কামনা করি। অকল্যাণ ও অশুভকে পরাজিত করতে পারলেই কল্যাণ বা শুভর সাক্ষাত মিলে। শরতের ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরির খেলা, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শিশির-ভেজা ঘাস ও শিউলি সুরভিত শারদীয় শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ জগতে সবার কল্যাণ কামনায় পরমারাধ্যা মহাশক্তি দেবী দুর্গার আরাধনায় আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ ও নত করে। আমাদের মন ব্যাকুল হয় বলতে –
“এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর!
পুণ্য হল অঙ্গ মম, ধন্য হল অন্তর, সুন্দর হে সুন্দর”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভগবানকে তথা স্রষ্টাকে মাতৃভাবে আরাধনা হিন্দুধর্মের একটি বৈশিষ্ট্য। মাতৃ আরাধনায় ভক্তগনের মাঝে অনুরনিত হয় – “যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্ত্যৈ নমস্ত্যৈ নমস্ত্যৈ নমঃ নমঃ”। এ আরাধনার বিরামহীন ধারা বৈদিক যুগ থেকে চলে আসছে। শক্তি-সাধনার অবাধ এ ধারা বৈদিক যুগ থেকে প্রবাহিত হয়ে পরিবর্তিত আকারে ক্রমে পৌরাণিক এবং তত্পরবর্তী যুগে আরও প্রসার লাভ করেছে। যদি মানবমনে আসুরিক তথা পাশবিক ভাবগুলো প্রবল থাকে তবে সত্ত¡গুণজাত দৈবীভাবগুলো বিকশিত হতে পারে না। যদি সাধনার দ্বারা আমাদের জীবন থেকে আসুরিক বা পাশবিক ভাবগুলো দূরীভূত করতে পারি, তখন দৈবভাবগুলোর প্রকাশ ঘটে। আমরা তখন প্রকৃত মনুষ্যত্বের অধিকারী হই এবং ভগবান বা স্রষ্টাকে পাওয়ার উপযোগী হয়ে মানবজীবন সার্থক করতে পারি।
দুর্গা উত্সব সার্বজনীন এবং এর আনন্দও সার্বজনীন। শিউলিতলার পাশে, ঝরাফুলের রাশে, শিশির-ভেজা ঘাসে অরুণরাঙা চরণ ফেলে নয়ন-ভুলানো রুপে মা দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। শরতের আগমনে মহানন্দ শক্তির বিশ্বব্যাপী মহালীলা অনুভব করার শুভক্ষণ আসে আমাদের জীবন ও সমাজে। আমাদের মন সেই মহানন্দে অবগাহন করার জন্য সবাইকে সাদরে আহ্বান করে বলে-
“আজ নিখিলের আনন্দধারায় ধুইয়ে দাও,
মনের কোনের সব দীনতা মলিনতা ধুইয়ে দাও”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আকাশে-বাতাসে দেবীর আগমনী বার্তা ঘোষিত হয় এবং তাহা বাঙালী হৃদয়ে উল্লাস, সাহস ও শক্তির উচ্ছ্বাস জাগায়। মহাশক্তি আনন্দময়ীর শুভাগমনে আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুভূতি উদ্বেলিত হয়ে প্রাণে আনন্দের ঝংকার তোলে। যেমন –
“পুজো মানে নীল আকাশে, সাদা মেঘের ভেলা
পুজো মানে খুশীর জোয়ার, আড্ডা সারাবেলা।
পুজো মানে হারিয়ে যাওয়া প্রেমের ফিরে আসা
পুজো মানে নতুন করে আবার ভালবাসা”।
দূর্গা পূজায় সমাজের সব শ্রেণির মানুষের অংশ নেয়ার সুযোগ থাকে। ফলে এ উত্সব সকলের। সবাই মনে করে এ পূজায় তারও অবদান আছে। আর তাই অন্যের সঙ্গে দায়িত্ববোধ ও ভ্রাতৃত্ববোধে যুক্ত থাকার প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলব্ধি করেন। এভাবে দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপ হয় সবার জন্য উন্মুক্ত। সবাই ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঐক্য, প্রেম ও ভ্রাতৃত্ববোধ বিলানোর চেষ্টা করেন। প্রতি বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও সার্বজনীন দুর্গোত্সবের আনন্দ উপভোগ করেন। সবাই মনে করেন, “আনন্দেরই সাগর সাগর হতে এসেছে আজ বান”। এদেশে শত শত বছর ধরে বিভিন্ন স¤প্রদায় পারস্পরিক সহাবস্থান ও স¤প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছেন। বাঙালীর চিরন্তন ঐতিহ্য ও স¤প্রীতির ধারা বাহিকতায় এক ধর্ম বা স¤প্রদায়ের মানুষ অন্য ধর্ম বা স¤প্রদায়ের মানুষের বিপদ-আপদেও সাড়া দেন। মাঝে মধ্যে অশুভ শক্তি এ পরিচয় মুছে ফেলতে চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষের কাছে তা কখনই গ্রহণযোগ্য হয়নি।
দুর্গা পূজা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমরা পাই একতাবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা। সম্মিলিত শক্তিতে মহত উদ্দেশ্য সাধনের শিক্ষা। পাই নারীর প্রতি মর্যাদাবোধের শিক্ষা। আমরা চাই বিভক্তি নয়- মিলন, অন্যায়কে প্রশ্রয় নয় – তার প্রতিবাদ। আমরা দেখি, যে সমাজে ও পরিবারে নারী জাতির প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা হয়েছে সেখানেই মহত প্রাণের আবির্ভাব বা জন্ম হয়েছে।
সা¤প্রদায়িকতা আমাদের মধ্যে বিভক্তি আনে। সংকীর্ণ দৃষ্টিভংগি আমাদের প্রাণে প্রাণে মিশতে দেয় না। এগুলোই হলো বর্তমান যুগের অসুর। আর তাই অশান্তি ও বৈষম্যের অসুর তথা অশুভ শক্তিকে নির্মূল করা প্রয়োজন। তখনই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও কল্যাণ। সনাতন ধর্মের অন্যতম মূল ধর্মগ্রন্থ শ্রী গীতায় ভগবান বলেছেন- “সাধুদের পরিত্রান, দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ ও ধর্ম প্রতিষ্টার জন্য আমি (ভগবান) যুগে যুগে অবতীর্ন হই”। আমাদের প্রার্থনা যেন সমাজের সর্বস্তরে ধর্ম ও শান্তি প্রতিষ্টিত হয়।
প্রতিমা পুজারীরাও ইশ্বরে বা স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন তথা ইশ্বর বা স্রষ্টাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করেন। তারা ইশ্বরের দ্রোহী নয়। প্রকৃতপক্ষে. রুপের মাঝে অরুপকে দর্শন তথা বহুর মাধ্যমে একত্বে প্রবেশ ও জীবনকে উপভোগ্য করার জন্যে হিন্দুরা প্রতিমা পূজা করে। মনীষীর উক্তি-
“মূর্তি পূজা করেনা হিন্দু কাঠ মাটি গড়া
রুপের মাঝে অরুপ হেরে হয়ে যায় আত্মহারা”।
তখন ঐ আত্মহারা অবস্থায় হিন্দুরা মনে করে, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, – “মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে”।
সনাতন ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ বেদের বানী বা কামনা- “সবার মংগল হউক, সবাই নীরোগ হউক, সবাই সুখদর্শন হউক এবং আমরা যেন সবাই সুখ ও দুঃখ সমভাবে ভাগ করে নিই”। শ্রী গীতার সর্বশেষ অধ্যায়ে শ্রী ভগবান বলেছেন “তোমরা সব কিছু পরিত্যাগ করে আমার (ভগবানের) একার শরণাপন্ন হও। আমি তোমাদেরকে সকল পাপ থেকে মুক্ত করিব”।
কোন গন্তব্য স্থলে যেতে হলে বিভিন্ন পথে যাওয়া যায় –যেমন আকাশ পথ, রেল পথ, সড়ক পথ বা নৌ পথ।। স্বামী রামকৃঞ্চ পরমহংস দেব বলতেন- “যত মত, তত পথ”। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগোয় অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে ভারত এবং হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১১-২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মহাসম্মেলনটি ছিল বিশ্বের প্রথম ধর্মীয় মহাসম্মেলন। বোস্টনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটস্ স্বামী বিবেকানন্দকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। স্বামী বিবেকানন্দের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর, অধ্যাপক রাইট তাঁকে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আহ্বান করেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে সম্মেলনে যোগদানের সুযোগ করে দেন এবং পত্রে লেখেন- “এই তরুণ ভারতীয় সন্ন্যাসীর পাণ্ডিত্য আমাদের সমস্ত অধ্যাপকদের পাণ্ডিত্যের সমষ্টির চেয়ে বেশি। তিনি সূর্যতুল্য।” সভায় শ্রোতৃবৃন্দকে তাঁর সম্বোধনের পরেই টানা দু-মিনিট করতালি দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলী। তিনি বেদান্ত দর্শন, হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর, আত্মা এবং দেহের ধারণা সম্পর্কে তাঁর মূল বক্তৃতা দেন। স্বামী বিবেকানন্দ উপসংহারে হিন্দু স¤প্রদায়সহ বিভিন্ন স¤প্রদায়ের অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যেন আমাদের নিজের ছোট্ট কুয়োয় বসে আছি, আর ভাবচ্ছি এই ছোট্ট কুয়োটাই হলো পুরো পৃথিবী। তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন “যুদ্ধের বদলে সাহায্য”, “ধবংসের বদলে আত্মীকরণ”, “বিভেদের বদলে স¤প্রীতি এবং শান্তি” এই বার্তা দিয়ে।
বিশিষ্ট লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জনাব মমতাজউদ্দীন আহমদ, স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে (পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ জাতি সংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কালচারেল মিনিষ্টার) বিশাল ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ শীর্ষক এক বিতর্কে বলেছিলেন, যদি ‘জয় বাংলা’ কথাটি কোন দিন সত্য হয়, তবে চট্টগ্রামের বুকে দাঁড়িয়ে বলবো ‘জয় চট্টগ্রাম’ নয় – বলবো ‘জয় মানবতা’। যদিও ইংরেজী বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত ভাষা, তবু পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশে নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়। মানুষ বুঝতে পেরেছে মাতৃভাষা ব্যতীত আশা মিঠে না- মিঠতে পারেনা বা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয় না। মানুষের মনের আত্মিক বিকাশ ও প্রকাশ বা উন্নয়ন নিজ নিজ মাতৃভাষাতেই যতটুকু হয়, অন্য ভাষায় ততটুকু হয় না। অনুরুপ ভাবে পৃথিবীর সব ধর্ম ও স¤প্রদায়কে একীভূত করে নয়- বরঞ্চ সব ধর্ম ও সম্পদ্রায়ের স্ব স্ব বিকাশ ও শান্তিতে সহাবস্থানের সুযোগের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিক মঙ্গল হয় তথা মানবতার জয় হয়।
অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সকল মানুষের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি ও স¤প্রীতির আশা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় হিন্দু স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উত্সব শারদীয় দুর্গাপূজার। ধর্মের গ্লানি ও অধর্ম রোধ, সাধুদের রক্ষা, অসুর বা অশুভ শক্তির বিনাশ, ধর্ম প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের মধ্যে মহামিলনের সেতুবন্ধন রচনার জন্য প্রতি বছর দুগর্তিনাশিনী দেবী দুর্গা আমাদের মধ্যে আবির্ভূতা হন। শুভ বিজয়ার মাধ্যমে জগতকে শোনান সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী।
আজ সময় এসেছে ধর্ম কি ও কেন তা গভীরভাবে উপলব্ধি করার। সময় এসেছে ধর্মীয় কথাগুলোর আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যার এবং জনগনকে ঐ ভাবে দীক্ষিত ও পরিচালিত করার। সকল ধর্মের বাণী একটাই- “হে মানুষ, তুমি সুন্দর হও”। “মানুষের জন্য যা কল্যানকর তাহাই ধর্ম। যে ধর্ম পালন করিতে গিয়া মানুষের অকল্যাণ করিতে হয়, তাহা ধর্মের কুসংস্কার মাত্র।মানুষের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ নয়”- বিশিষ্ট লেখক, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপ্যাল ইব্রাহিম খাঁ।তাই ধর্ম যেন মানুষের শান্তির পথে, কল্যানের পথে, উন্নতির পথে তথা বিশ্ব মানবতার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে না দাঁড়ায়। যদি সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট থাকে, তবে সমাজ থেকে সব ধরনের অশুভ শক্তির নাশ হবে এবং শুভ শক্তির উত্থান ঘটবে। সময় এসেছে প্রাণে প্রাণে সংযুক্ত হওয়ার তথা সম্মিলিত প্রাণের সুর তোলার। দেহের আসুরিক শক্তির বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব অশুভ শক্তির বিনাশ হোক – ন্যায়, সত্য ও সুন্দরের প্রকাশ ঘটুক। এটাই মহাদেবী দূর্গার কাছে আমাদের করজোড়ে প্রার্থনা। বাংলার শরত-হেমন্তের শুভ্র কাশফুলের মতো আমাদের হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ তথা অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে শুভ বোধের উন্মেষ ঘটুক। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় আমরাও যেন বলি –
“এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু-মুসলমান।
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃস্টান।
এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন ধরো হাত সবাকার।
এসো হে পতিত, হোক অপনীত সব অপমানভার”।
এটাই হোক বিজয়া দশমীর প্রত্যাশা। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশী ভাল থাকুন- থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ। ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ। সবাইকে সার্বজনীন শারদীয় দূর্গোত্সব ও শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।
* প্রকৌশলী, ইনস্টিউশন অব ইজ্ঞিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর সদস্য, কোয়ালিটি এসুরেন্স এন্ড ম্যানেজমেন্টে অনার্স সহ স্নাতক (অন্টারিও) এবং একজন সমাজ হৈতষী কর্মী।