অনলাইন ডেস্ক : নানা নাটকীয়তা শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রস্তাবের পর আজ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে অভিশংসনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি হয়। আজ শনিবার দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

সামরিক আইন জারি ইস্যুতে এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালায়।

তার সামরিক শাসন জারির পর অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উপেক্ষা করেই বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোট হয়। তবে সে ভোটে তিনি উতরে যান। তবে এবার তার শেষরক্ষা হলো না।

অভিশংসিত হওয়ার প্রস্তাব পাসের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি সাময়িকভাবে আমার যাত্রা শেষ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যাত্রা শেষের কথা জানালেও, আমি গত আড়াই বছর ধরে যে ভবিষ্যতের যাত্রা শুরু করেছিলাম তা কখনই থামবে না। আমি কখনই হাল ছাড়ব না।

আমি আপনাদের সকল সমালোচনা, প্রশংসা এবং সমর্থন গ্রহণ করব এবং দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আমি আমার সেরাটা দিয়ে যাব।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হওয়ার প্রস্তাব পাসের খবর ছড়িয়ে পড়লে সিউলের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ উদযাপন শুরু করে। খুশিতে অনেককে কাঁদতে দেখা যায়।

৪০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে বিলটি পাস হয়েছে। এটা স্বস্তির বিষয় যে, আমাদের আর ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে হবে না।

তবে লড়াই শেষ হয়নি। আমরা জানি যে, তার অভিশংসন চূড়ান্ত হওয়ার জন্য আমাদের আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা অপেক্ষা করব।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অভিশংসন ভোটের বিষয়ে তার মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো স্থিতিশীলভাবে পরিচালনার জন্য সকল শক্তি এবং প্রচেষ্টা প্রয়োগ করব।’ ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তিনি আজ মন্ত্রিসভার একটির বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়ে-মিউং জাতীয় পরিষদের সামনে বিক্ষোভকারীদের বলেন, ‘আজ প্রমাণ হলো আপনি এই দেশের মালিক।’ তিনি আরো বলেন, ‘সামনে একটি বৃহত্তর এবং কঠিন পর্বত রয়েছে।’ তিনি জনতাকে একসঙ্গে ‘জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার’ জন্য আহবান জানান।

সূত্র : বিবিসি