অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগ আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহনের জন্য ২৭ আগস্ট দিন দিন নির্ধারন করেন। এর ফলে এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও। আদালতে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। মামলা করার ৬৫ দিনের মধ্যে চার্জ গঠন করা হলো।

বৃহস্পতিবার দুপুরেরর দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, তারা এ মামলার কাগজপত্র এখনও হাতে পাননি। এ কারণে তারা মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেননি। এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ধার্যের জন্য আাবেদন করেন তারা।

এ আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষেও কৌঁসুলি পিপি আবু আবদুল্লাহ। তিনি আদালতকে বলেন, এটি একটি আলোচিত মামলা। এ মামলার অন্য আসামিদের মামলার কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যারা কাগজপত্র পাননি, সেটি তাদের ব্যর্থতা। তিনি চার্জ গঠনের জন্য আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বিকেলে অভিযোগ গঠন করেন।

এর আগে সকালে সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুপুরে তাদের এজলাসে তোলা হয়।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার এই আদালত আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ মামলার চার্জশিট দেখেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ১৫ জুন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। অপর আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করে।