হাসান গোর্কি : আয়তনে কানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। সভ্যতা, শান্তি ও সমৃদ্ধিকে সূচক ধরলে পৃথিবীর প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে তার অবস্থান। ফরাসি ও ইংরেজ অভিযাত্রীরা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে উত্তর আমেরিকার এই বিশাল ভূখণ্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বসতি স্থাপন করতে শুরু করে পঞ্চদশ শতকের শুরুতে। প্রথম দিকের অভিযানগুলো বেসামরিক হলেও ভূমি দখল এবং উপনিবেশ স্থাপনের প্রতিযোগিতায় একসময় তা সামরিক রূপ নেয়। প্রায় আড়াই শ’ বছর ধরে চলা এই দ্বৈরথে ধীরে ধীরে ফরাসিরা পিছিয়ে পড়ে। ১৭৫০ থেকে ১৭৬৩-র মধ্যে সব উপনিবেশ তারা ইংরেজদের কাছে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কথিত আছে, পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পক্ষ নেওয়া ফরাসিদের পরাজয়ের খবর জাহাজে করে মন্টিয়েল পৌঁছাতে ছয় মাস সময় লেগেছিল। খবর পেয়ে উৎসাহিত ব্রিটিশ কমান্ডার জেমস উলফ বিপুল উদ্যমে ফরাসি বাহিনীকে আক্রমণ করেন এবং সাত বছর ধরে চলা প্রায় স্থবির যুদ্ধ শেষ হয় ‘ব্যাটলস অব দ্য প্লেইনস অব আব্রাহাম’-এ ব্রিটিশদের জয়ের মধ্য দিয়ে। এর প্রায় এক শ’ বছর পর ‘ব্রিটিশ নর্থ আমেরিকা অ্যাক্ট, ১৮৬৭’ ঘোষণার মাধ্যমে তিনটি আলাদা কলোনি (কানাডা, নোভা স্কশিয়া, নিউ ব্রান্সউইক) একত্র করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে একক ডোমিনিয়ন গঠন করা হয় এবং এই ডোমিনিয়নের নাম দেওয়া হয় কানাডা। অ্যাক্টটি কার্যকর হয় ১ জুলাই ১৮৬৭ তারিখে। তখন থেকে পয়লা জুলাই ‘ডোমিনিয়ন ডে’ হিসেবে পালিত হয়ে এসেছে। ১৯৮২ সালে ‘কানাডা অ্যাক্ট’ পাশ হবার পর কানাডা সাংবিধানিকভাবে একটি পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ‘কানাডা ডে’ করা হয়।
অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে অন্য এক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সে রাষ্ট্র পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হয় কীভাবে? এমনকি ব্রিটেনের রানী কানাডার নাগরিকও নন। তবে তাঁর অনেকগুলো বিশেষ মর্যাদা আছে। যেমন, তিনি পাসপোর্ট ছাড়া কানাডায় প্রবেশ করতে এবং যতদিন ইচ্ছা বসবাস করতে পারবেন। কানাডা স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এটি একটি রিপাবলিক নয়। ফলে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্টের পদ নেই। ১৯৮২ সালে জারীকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে, দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত কানাডা সংসদীয় গণতন্ত্র এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজ্তন্ত্র উভয়-ই মেনে চলে।
পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে এরকম রাজতন্ত্র চালু আছে। যেমন- বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ডেনমার্ক, জাপান, জর্ডান, কুয়েত, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মোনাকো, মরক্কো, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আরব আমিরাত। এসব দেশের রাজার পদ অনেকটা আলঙ্কারিক। তাদের প্রতি জনগণ যে শ্রদ্ধা ও সন্মান দেখায় সেটাও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত, যার সাথে রাজা বা রানীর সাংবিধানিক ক্ষমতার কোন যোগ নেই।
১৯৯১ সালে থাইল্যান্ডের তৎকালীন সেনাপ্রধান সুচিন্দ্র ক্রাপ্রেয়ন সামরিক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করার পর রাজা ভূমিবলের সাথে দেখা করতে যান। রাজার বসার ঘরে পৌঁছার আগে প্রথা অনুযায়ী সুচিন্দ্র প্রাসাদের প্রবেশ দরজায় হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়েন এবং মেঝেতে ঘষটে প্রায় ২০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে রাজার সামনে পৌঁছান। সেসময় দৃশ্যটা খবরে দেখানো হয়েছিল। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রে রাজা/ রানী একাধারে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান; যেমন, সৌদি আরব ,ওমান ,ব্রæনাই কাতার। এসব দেশে কোন গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ করার জন্য রাজার সম্মতি দরকার হয়। এমনকি যদি রাজতন্ত্রের বিলোপ সাধন করার আইন পাশ করতে হয় তাহলে তাতে রাজার স্বাক্ষর লাগবে। যেমন ২০০৮ সালে সংসদীয় পরিষদ ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে নেপালকে ফেডারেল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণার পক্ষে রায় দেয়। এরপর নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্র ডিক্রি জারি করে রাজতন্ত্র ও নিজের শাসনের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।
এ বছর কানাডা পালন করছে তার ১৫৫ তম জন্মদিবস। রাষ্ট্র হিসেবে কানাডার সাফল্যের বড় সূত্র সাংস্কৃতিক ভিন্নতার নিবিড় আত্তীকরণ, যাকে ‘সাংস্কৃতিক বৈপরীত্য’র ঐক্য বলে কানাডার সরকার। আর সিভিল সোসাইটি, মিডিয়া, একাডেমিশিয়ানরা ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একীভবন’ বলতে বেশি পছন্দ করেন। ২০১১-র মার্চে লেবার পার্টির এমপি থাকাকালে জাস্টিন ট্রুডো দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কানাডায় একক কোনো প্রভাবশালী সংস্কৃতি নেই। আমাদের নীতি আন্তসংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে পরস্পরকে শ্রদ্ধা করা নয়, বরং বহু সংস্কৃতির (মাল্টিকালচারিজম) চর্চা করা; যাতে আমরা “অনন্যতা”র ধারণা দিয়ে আচ্ছন্ন না হই।’ তাঁর এই কথাটা যে কাগুজে ছিল না প্রধানমন্ত্রী হবার পর সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০১৬-র এই দিনটিতে আমি অটোয়ায় ছিলাম। কার্লটন ইউনিভার্সিটিতে প্রয়োজনীয় কাজের সাথে মিলিয়ে ট্যুর প্ল্যান তৈরি করেছিলাম যাতে ‘কানাডা ডে’র অনুষ্ঠানমালা দেখতে পারি। ঢোল, মৃদঙ্গ, শিঙা, ডমরু ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রসহযোগে পোস্টার-ফেস্টুন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার মুখোশ ধারণ করে অটোয়ার রাজপথে বিপুলসংখ্যক বাঙালির বর্ণাঢ্য র্যালি দেখে মনে হচ্ছিল কানাডার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শহরে এক খণ্ড বাংলাদেশ দেখছি।
![](https://i0.wp.com/www.banglakagoj.com/wp-content/uploads/2022/07/Bk-2-2.jpg?resize=696%2C383&ssl=1)
টেলিভিশনে দেখেছিলাম, টরন্টোর উত্তরে অবস্থিত উপশহর ভনের বাইতুল ইসলাম মসজিদে কানাডা ডে উপলক্ষ্যে সিরিয়া থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। শুধু এই দিনেই নয়, সারা বছর এ দেশে বসবাসকারী ডায়াস্পরিক কমিউনিটিগুলো তাদের নিজস্ব উৎসব-পার্বণে ঐতিহ্যগত সংগীত, নৃত্য, পোশাক, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাজির হয়। আমি মন্ট্রিয়ল ও ভ্যাঙ্কুভারে ইরানি নববর্ষের অনুষ্ঠান, ‘নওরোজ’ দেখেছি। আমার মনে হয়েছে এটা কানাডার জনগণের নববর্ষ। কানাডা সরকার এই প্রবণতাকে শুধু নীতিগতভাবে অনুমোদন করে, তা-ই নয়, অনুপ্রেরণা ও সহায়তা দেয়।
আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণে কানাডা সরকারের দায়িত্বশীলতার কথা কমবেশি সবাই জানেন। ভূখণ্ডের মূল মালিকদের কথা যে আজকের মানুষেরা ভুলে যায়নি, সে প্রসঙ্গে ছোট্ট একটা অভিজ্ঞতার বলি। বছর কয়েক আগে ফ্রেন্ডলি কোভ নামে ছোট্ট একটা আদিবাসী দ্বীপে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। দ্বীপটির অবস্থান ভ্যাঙ্কুভার আইল্যান্ডের ঠিক পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের উপক‚ল ঘেঁষে নোটকা আইল্যান্ডের কাছাকাছি। স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা কানাডার ‘প্যাসিফিক কোস্ট’ এ প্রথম আসে ১৭৭৪ সালে। এর চার বছর পর ক্যাপ্টেন কুক তাঁর দুই বিখ্যাত জাহাজ ‘রিজলুশন’ এবং ‘ডিসকভারি’ নিয়ে ‘ফ্রেন্ডলি কোভ’- এ এসেছিলেন। এখানে তিনি নাবিকদের নিয়ে বেশ কিছুদিন একটা লেগুনের পাড়ে অবস্থান করেন এবং জাহাজ দুটি মেরামত করেন। আদিবাসীরা তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। এমনকি তারা কিছু পণ্য বিনিময়ও করেছিল। ক্যাপ্টেন কুক যে অস্থায়ী আবাস তৈরি করেছিলেন সেখানে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আড়াই শ’ বছর আগের সময়টা এখানে থমকে আছে। কল্পনা করছিলাম সেই অসীম জিজ্ঞাসু অভিযাত্রীরা এই গহিন অরণ্যের পাদদেশে কী চমৎকার কর্মমুখর দিন কাটিয়েছে- লেগুন থেকে মাছ ধরা, বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করা, পিকনিকের মতো রান্না করা।
গোল্ড রিভার থেকে খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে সপ্তাহে একবার একটা সরকারি ফেরি সেখানে যায়। জুলাইয়ের নাতিশীতোষ্ণ এক সকালে সেই ফেরিতে করে তিন ঘণ্টার যাত্রা শেষে ওই আইল্যান্ডে পৌঁছালাম। অভ্যর্থনাটা হলো চমৎকার। ফেরির হর্ন শুনে গোটা দশেক স্বাস্থ্যবান কুকুর দৌড়ে এসে নোঙ্গর করতে থাকা ফেরিতে উঠে গেলো; তারা যাত্রীদের কোলে বসে পড়লো এবং পরে পথ দেখিয়ে চার্চ পর্যন্ত নিয়ে গেল। চার্চে শ’ দুয়েক লোকের প্রার্থনার স্থান সংকুলান হবে। দ্বীপটি কানাডা সরকারের নজরে আসার সময় ১৯৩০ সালে বাস করতো পনেরো শ’ আদিবাসী। এখন বাস করে ২১ জন। সেখানে একটা হাসপাতাল আছে এবং একজন নার্স আছেন। একটা হেলিপ্যাড আছে। একটা স্কুলঘর আছে, কিন্তু ছাত্র নেই বলে কোনো শিক্ষকও নেই। এই ২১ জন অধিবাসীর খাদ্য ও জীবনোপকরণ সরবরাহ করে সরকার। কিন্তু সেখানে ওই নার্স ছাড়া বাইরের কেউ রাত্রি যাপন করতে পারে না। সরকার একজন পুলিশ সদস্য রাখার ব্যাপারে নু চা নালথ ট্রাইবাল কাউন্সিলের সঙ্গে অনেক দেনদরবার করে তাদের রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ধারণা, দ্বীপের দক্ষিণাংশে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে মুখ করে কুড়ি ফুট উচ্চতার, প্রস্তরনির্মিত যে সমুদ্রদেবতা দাঁড়িয়ে আছেন, তিনিই তাদের নিরাপত্তা দিয়ে এসেছেন স্মরণাতীতকাল থেকে। এখনো তিনিই দেবেন।
অন্য অনেক জাতিগোষ্ঠীর মতো আমরা বাঙালিরাও এই ভূখণ্ডে এসেছি প্রাচীন অভিযাত্রীদের পথ বেয়ে। সূর্যালোক, বায়ু, সমুদ্রের মতো পৃথিবীর ভূখণ্ডে মানুষের জন্মগত মালিকানা আছে, যেমন আছে অন্য সব প্রাণীর। কিন্তু মাছ বা পাখিদের মতো সারা পৃথিবীতে মানুষের যাতায়াত বা বসবাসের অধিকার অবারিত নয়। যদি কোন এক সুদূর ভবিষ্যতে আমরা চেতনায় শতভাগ নিরঁজন-নিষ্কলঙ্ক হয়ে উঠি তখন এ অধিকার আমাদেরও থাকবে। রাষ্ট্র হিসেবে কানাডা এই চেতনা এখন-ই ধারণ করে এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে কল্যাণের মনোবৃত্তি নিয়ে এখানে পাড়ি জমাতে আহ্বান করে। আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি। এই অভিযাত্রা যদি শুধু উন্নত জীবন এবং আর্থিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে হয়ে থাকে তাহলে সেটা ভালো নয়। এটা অর্থপূর্ণ হবে তখন-ই যখন আমরা অভিযাত্রার বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করবো। অভিবাসন না থাকলে সভ্যতার ইতিহাস এতো বর্ণাঢ্য হতে পারতো না। ‘মাইগ্রেশন’ শুধু জীবিকার জন্য ঘটেনি, বরং এর বেশিরভাগ ঘটেছে জ্ঞান ও দক্ষতার আহরণ ও বিতরণের মাধ্যমে কল্যাণকর একটা পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে। বর্ণ, গোত্র, ভাষা, লোকাচার, পোশাক, খাদ্যাভ্যাস- সবকিছুর বিচারে বাংলাদেশিদের মতো হমোজিনাস জাতি পৃথিবীতে কম আছে। এ জাতির জন্ম হয়েছে একটা মহাকাব্যের মতো গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু আমরা একটা আত্তীকৃত জাতি (ইনক্লুসিভ নেশন) হওয়ার পরিবর্তে বিভক্ত হয়ে গেছি এবং দুঃখজনকভাবে সে বিভক্তির ফলাফল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বয়ে নিয়ে এসেছি।
আমরা বাংলাদেশি ক্যানাডিয়ান। জীবনের প্রতিটি স্তরে এই মর্যাদাপূর্ণ পরিচিতির সন্মান রক্ষা করা আমাদের সামষ্টিক দায়িত্ব। আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি একটা সহিষ্ণু মানবিক সমাজ গড়া না গেলে বেলা শেষে তার কোন অর্থ থাকে না।
কানাডায় এক যুগ বসবাসের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সামষ্টিক বসবাসের জন্য একটা আত্তীকৃত সামাজিক কাঠামোর চেয়ে মূল্যবান আর কিছু হয় না। আমরা নিজেদের প্রথমে বাঙালি নাকি ক্যানাডিয়ান ভাবতে পছন্দ করবো সে বিষয়টিও চিন্তা করে দেখা যেতে পারে। মাতৃভূমি থেকে বয়ে নিয়ে আসা সংস্কৃতি এখানকার সমাজে মিশে থাকার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য যেনো বোঝা হয়ে না দাঁড়ায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। খুশি হবার মতো অনেক অগ্রগতি-অর্জন আমাদের আছে; তবে তা অন্যদের চেয়ে শ্লথ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্য আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসীরা আমাদের চেয়ে দ্রæত এই সমাজের অংশ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচতে আমাদের চিন্তা ও কর্মে কী ধরণের পরিবর্তন দরকার সে বিষয়ে কমুনিটির চিন্তাশীল মানুষরা ভাববেন- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
hassangorkii@yahoo.com
জুন ১০, ২০২২, রয়্যাল রোডস ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডা।