অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব মন্ত্রী-এমপির নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল হতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদেশ জারি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই শুধু মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, লাল পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোমেটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্বামী বা স্ত্রী। সেইসঙ্গে উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পান।
লাল পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন অ্যারাইভাল ভিসা পান। লাল পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট সব দেশেই লাল রঙের হয়ে থাকে।
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রী-এমপিরা সংসদের মেয়াদকাল অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) পেয়ে থাকেন। সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায়। তবে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের আদেশ এলে সাধারণত বাতিল করা হয়। এরপর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ রঙের) পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে কারো নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকলেই কেবল তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই পাসপোর্ট সারেন্ডার করে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন।