অনলাইন ডেস্ক : গাজা সিটির প্রান্তে শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ চলছেই। গত বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বাসিন্দারা এলাকা ছাড়ছে। আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর কাটছে। রাস্তায় ট্যাংক থেকে হামলা চালানো হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত লোকজন পথে পথে দৌড়াচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল শুক্রবার শুজাইয়া এলাকায় অভিযানের খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় হতাহতদের উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা শুজাইয়া এলাকায় হামাসের অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া উত্তর গাজার বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়েছে তারা। মধ্য গাজার দেইর আল বালাহতেও হামলা চালানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক গতকাল শুজাইয়া এলাকায় বিমান হামলার ঘটনা দেখতে পান।
তিনি সেখানে মুহুর্মুহু কামানের গোলাবর্ষণের শব্দও শুনেছেন। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, গাজায় হামাসের অবস্থান গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েলি বাহিনী এখন স্থলসেনার উপস্থিতি কমিয়ে ড্রোন ও যুদ্ধবিমান বেশি ব্যবহার করতে পারে। শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দারা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এমন হামলায় তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছে। তারা এখন কী করবে, কোথায় যাবে তা ভেবে পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি প্রতিরক্ষা থিংকট্যাংক বলছে, গত অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করার পর শুজাইয়া এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অভিযানে নেমেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইরানকে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতির মতো আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করে ইরান সাতটি ফ্রন্ট থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। নেতানিয়াহ সাবধান করে বলেন, ‘যারা এমনটা করছে, তারা এখানে থাকতে পারবে না।’
সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি