অনলাইন ডেস্ক : জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম পর্বটি ১ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রুনেইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে। দারুসসালাম ইউনিভার্সিটি অব ব্রুনেই দারুসসালাম (ইউবিডি) এবং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (ইউটিবি) কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের এ আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় ব্রনেইপ্রবাসী দুই বাংলাদেশি সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ স্থান করে নেওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানো হয়।
লেকচার সিরিজে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দিন আহমেদকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের গবেষণার বিষয় হচ্ছে মেমোরি স্টোরেজ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য নতুন চৌম্বকীয় উপাদান সন্ধান এবং বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনের জন্য নতুন পদার্থ উদ্ভাবন। ইতিমধ্যে তাঁর ১৫০টির বেশি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বর্তমান গুগল স্কলার সূচক ২৯০৬ এবং এইচ সূচক ২৯। তাঁর গবেষণালব্ধ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আমেরিকা থেকে দুটিসহ বেশ কিছু কাজের পেটেন্ট লাভ করেছেন।
সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দিন আহমেদের গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে বায়োসেন্সর, ন্যানোবায়োটেকনোলজি, ডায়াগনস্টিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তার ব্যবহার।
বায়োসেন্সর ও বায়ো–ইলেকট্রনিকস, অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রি ও ফুড সায়েন্স বিষয়ে অসংখ্য গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের কিছু উদ্ভাবনী কাজ সম্প্রতি তিনি মার্কিন পেটেন্ট করেছেন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মিনহাজ কেমিক্যাল সায়েন্সের ক্রস ডিসিপ্লিনে শীর্ষস্থানীয় ১ শতাংশ রিভিউয়ার হিসেবে ‘পাবলন পিয়ার রিভিউ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর গুগল স্কলার ২০৯০ এবং এইচ সূচক ২৪। আবুল কালাম আজাদ ও মিনহাজ উদ্দীন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
মতবিনিময় সভায় হাইকমিশনার দুজন সম্মানিত শিক্ষকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। তিনি ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করাসহ ব্রুনেই সরকার কর্তৃক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের কোটা বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ব্রুনেইয়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষকদের ভূমিকার কথা হাইকমিশনার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি