অনলাইন ডেস্ক : শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুলা। অনেকেই এই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার এর নাম শুনলেই বিরক্ত হন। কিন্তু আপনি কি জানেন, মুলা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি একটি সবজি। এতে বিভিন্ন ধরনের মিনারেসল, ফাইটোকেমিক্যালস পাওয়া যায় যা আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। এ ছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানেও মুলার জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়মিত সবজিটি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই অবলম্বনে জেনে নিন মুলার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
মুলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সবজি, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
মুলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এ ছাড়াও মুলায় বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
জন্ডিস রোগীদের জন্য উপকারি
জন্ডিস রোগীদের জন্য মুলা খুবই উপকারি। যাদের জন্ডিস হয়েছে বা যারা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, তাদের অবশ্যই লবণের সঙ্গে মুলা খাওয়া উচিত। কারণ এই সবজিটি রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। শুধু তাই নয়, মুলা রক্ত পরিশোধনও করে।
কিডনি ভালো রাখে
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে মুলা। এটি কিডনির যেকোনো সমস্যা দূর করে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ঠাণ্ডা লাগা থেকে স্বস্তি দেয়
শীতকালে সবচেয়ে বেশি যে শারীরিক সমস্যা হয় তা হলো- সর্দি, জ্বর। তাই যদি আপনি নিয়মিত মুলা খান তবে এসব সমস্যা কম হবে। এই সবজিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।
গ্যাসের সমস্যা দূরে রাখে
আজকাল অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকে মনে করেন, মুলা খেলে পেটের গ্যাস আরও বাড়ে। কিন্তু এমনটা সত্যি নয়, বরং মুলা খেলে পেটের গ্যাস কম হয়। এ ছাড়াও হজম প্রক্রিয়ার জন্যও সবজিটি খুবই ভালো। এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও উপকারি
মুলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারি। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এই মূলা। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এটি গ্রহণ করতেই পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।