টরেন্টো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে পিটার বুরোর বিশাল লেকের পাড়ে বিভারমেড পার্কে ২৪ শে জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চিটাগাং এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন ২০২৩।
সকাল থেকে টরেন্টোয় তুমুল বৃষ্টি, তবে পিটারবোরোয় ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি। আয়োজকদের মনে শঙ্কা, অতিথি রা কিভাবে আসবে। সকাল ১১ টায় বৃষ্টি থেমে গেল। আয়োজকদের সকল শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে স্রোতের মত গাড়ি প্রবেশ করতে শুরু করলো। ১২.৩০ পর্যন্ত চা সহযোগে ব্রেকফাস্ট শেষ করে ১.৪৫ লাঞ্চ শুরু হলো। তিনটি দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ মধ্যাহ্ন ভোজন সংগ্রহ করলো। মঞ্চে তখন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মুক্তা পালের কন্ঠে সংগীত শুরু। ৩টার পর আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো।
প্রকৃতি যেন পণ করেছে যত রকমের তেলেসমাতি জানে সব আজ আমাদের দেখিয়ে ছাড়বে।কিন্তু আয়োজকদের অবাক করে দিয়ে বিশাল শেল্টারের নীচে জড়াজড়ি হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাজারের কাছাকাছি আমন্ত্রিত অতিথি একটি পরিবারের মত সংগীতের তালে তালে উদ্দাম নৃত্যে মেতে উঠেছে। মঞ্চে তখন মুক্তা পাল, রিফাত শান্তা, ভার্জিনিয়া থেকে আগত অসীম রানা, টরেন্টোর মারুফ, আলাউদ্দিন এবং পেনসিলভানিয়া থেকে আগত অতিথি শিল্পী জলি দাসের পরিবেশনায় পরিবেশিত হচ্ছিল একের পর এক সুমধুর সংগীত। এর মাঝে লাঞ্চের পর পান সুপারি, তারপর গরম চা, বিকাল না হতেই সবার হাতে হাতে ঝাল মুড়ির বাটি এবং মিষ্টি পৌঁছে দেওয়া হলো। এরপর তরমুজ, আবার বৃষ্টি শেষ না হতেই বেলা বিস্কুট সহযোগে চা বিতরণ। একটি পারিবারিক পিকনিকের মত এত বিপুল সংখ্যক অতিথি আনন্দে উদ্ভাসিত হলো।
মানুষের আনন্দ আর উদ্দাম নৃত্য দেখে স্টেজের পাশে জড়াজড়ি করে দাঁড়ানো বৃষ্টিতে কাকভেজা মূল আয়োজকদের কারো কারো চোখে নীরবে অশ্রু ঝরছিল। এত কষ্টের পর সবার তৃপ্ত এবং হাসিমাখা মুখ যেন আসল সার্থকতা। সবার বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ দেখে বৃষ্টি যেন লজ্জা পেয়ে লুকিয়ে গেলেন। ৪.৩০ সূর্য মামা ঝিকিমিকে রৌদ্র নিয়ে উদয় হলেন। পিলোপাসে শতাধিক মহিলার অংশগ্রহণে সমগ্র অনুষ্ঠান আলোকিত হলো। বাচ্চাদের স্পোর্টস এর পর রেফল ড্র শুরু হলো। টরেন্টো ভ্যাংকুভার কাপল টিকেট, টরেন্টো নিউইয়র্ক টিকেট সহ সর্বমোট ২৬ টি পুরস্কার বিতরণের পর চিটাগাং এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত পিকনিকের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।