অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ বুধবার হামলার সপ্তমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-ব্রিটেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। বিবিসি জানিয়েছে, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য এখন ব্যারেল প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে ১১৩ ডলার হয়েছে (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত), যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ডলার হয়েছিল। আমেরিকা এবং আরও ৩০টি দেশের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি তাদের জরুরি মজুত থেকে ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছাড়তে সম্মত হওয়ার পরেও এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাশিয়ার উপর থেকে জ্বালানি নির্ভরতা কত দ্রুত কমানো যায় সেদিকে তারা নজর দিচ্ছে।
এদিকে, বাণিজ্য সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদি আরব এশিয়া অঞ্চলে আগামী এপ্রিলে তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল রফতানিকারক রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে সারা বিশ্বে তেল সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে। তার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সৌদি আরব। ৫টি রিফাইনিং সূত্রের মধ্যে তিনটি জানিয়েছে, প্রতি ব্যারেল আরব লাইট ক্রুডের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য বাড়তে পারে ৪.৫০ ডলার করে। বাকি দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি ব্যারেল তেলের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য ১.৫০ ডলার ও ২.২০ ডলার করে বাড়তে পারে।