অনলাইন ডেস্ক : ব্রাজিলের ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বীপটি বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অতি আকর্ষণীয়। নীল জলরাশি, বালির সৈকত, সাগরের পানিতে ডলফিনের সাঁতার কাটার দৃশ্যসহ আরও অনেক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছরই নানা দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটে আসেন। করোনা সংক্রমণের কারণে দ্বীপটি এতদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। তবে এর জন্য রাখা হয়েছে অদ্ভুত এক শর্ত। দ্বীপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবল তারাই দ্বীপটি ভ্রমণ করতে পারবেন, যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। খবর সিএনএনের।
দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পের্নাম্বুকোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বীপ আগামী সপ্তাহেই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দ্বীপ কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কমপক্ষে ২০ দিন আগে করোনা শনাক্ত হয়েছে এমন পর্যটকরা নমুনা পরীক্ষার ফল দেখিয়ে দ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তারাও সনদ দেখিয়ে দ্বীপে যেতে পারবেন। তবে শুধু করোনা আক্রান্তরাই কেন যেতে পারবেন তার ব্যাখ্যা সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া হয়নি।
ফার্নান্দো দে নরোনহা ২১টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। করোনা মহামারীর কারণে মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ ছিল। বিরল উদ্ভিদ এবং জীবজন্তুসমৃদ্ধ দ্বীপটি একটি সংরক্ষিত অঞ্চল। এখানে একটি ন্যাশনাল পার্ক আছে। গত বছর ১ লাখ ৬ হাজার পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেন। ২০০১ সালে এখানকার ন্যাশনাল পার্কটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নেয়।