অনলাইন ডেস্ক : মানুষের অত্যাচারে প্রাণীদের এলাকা ছাড়ার ঘটনা বিরল নয়। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের ক্রমবর্ধমান লোভ অন্য প্রাণীদের অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দেয়। কিন্তু মানুষের বসতি জবরদখল করে তাদের তাড়িয়ে দেবে অন্য কোনো প্রাণী, বিষয়টি কল্পনা করতেও কষ্ট হয়।
আর যদি সেই প্রাণীর নাম বিড়াল হয় তবে তো তা কল্পনাতীত। এমনটাই ঘটেছে জাপানের সেতো সাগরের এওশিমা দ্বীপে।
পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অনেক দ্বীপের মতোই এ দ্বীপটিতেও ছিল মৎস্যজীবীদের ডেরা। কিন্তু হঠাৎ করেই দুপেয়েরা হয়ে পড়ে গৌণ। দ্বীপ দখল করতে শুরু করে মানুষের খুব প্রিয় চারপেয়েরা।
১৯৪৫ সাল নাগাদ এ দ্বীপে বাস করতেন প্রায় ৯০০ মৎস্যজীবী। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছিল মাত্র তেরোতে। ২০১৯ সালে আরও কমে, এখন এক কিলোমিটার লম্বা এ দ্বীপে বাস করেন মাত্র ছ’জন।
বর্তমানে এ দ্বীপে বিড়ালের সংখ্যা ৬০০। বিড়াল দেখতে এ দ্বীপে বহু পর্যটক আসেন। বিড়ালরা পর্যটকদের বোট দ্বীপে ভেড়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কারণ তারা জানে পর্যটকরা ওদের জন্য খাবার উপহার আনবেন।
তাই পর্যটকদের বোট এলেই সেটাকে ঘিরে ধরে বিড়ালরা। পর্যটকদের কোনো রকম ক্ষতি করে না এরা। কারণ এরা জানে, একমাত্র পর্যটকদের হাত ধরেই দ্বীপে মাছ আসা সম্ভব। পর্যটকরা বিদায় নেয়ার পর বিড়ালরা ফিরে যায় যে যার নিজের ডেরায়। বর্তমানে দ্বীপটি বিড়াল দ্বীপ নামে পরিচিত।