অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ গাজা উপত্যকায় “যে কোনো মুহূর্তে” যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত। এ সময় তিনি যুদ্ধের লক্ষ্যগুলি “আলোচনার মাধ্যমে হোক বা অন্য উপায়ে” সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি বন্ধ করার একদিন পর নেতানিয়াহু কমব্যাট অফিসারদের জন্য একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা যে কোনো মুহূর্তে তীব্র লড়াই আবার শুরু করতে প্রস্তুত। গাজায়, আমরা হামাসের বেশিরভাগ সংগঠিত বাহিনীকে নির্মূল করেছি কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই – আমরা সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধের উদ্দেশ্য পূরণ করব।”

এর আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা অমান্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিম্মিদের অসম্মান করা হয়েছে। এছাড়া অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’

দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরপর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। তবে ওই দিন শিরি বিবাসের মরদেহের পরিবর্তে আরেক জনের দেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েল। অবশ্য পরদিন শিরি বিবাসের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

সূত্র : আল জাজিরা