অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। টর্নেডোর আঘাতে অনেক বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা লন্ডভন্ড হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে টর্নেডোর আঘাতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার জানিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএলকেওয়াইকে বেসিয়ার বলেছেন, আমাদের কাছে টর্নেডোতে ৫০ জনের প্রাণহানির তথ্য আছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ কিছু টর্নেডোর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভবত ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এই সংখ্যা ১০০ হতে পারে।’
কেন্টাকির গভর্নর ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘হতাহতের এই খবর সত্যিই হৃদয়বিদারক।’ রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিষেবার একজন মুখপাত্র বলেছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা টর্নেডোর আঘাতে মৃত্যু অথবা আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, কেন্টাকির পশ্চিমাঞ্চলীয় মেফিল্ডে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে টর্নেডো। রাজ্যের গভর্নর বলেছেন, মেফিল্ড কমিউনিটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে একটি মোমবাতি কারখানার ছাদ ধসে পড়েছে। এতে অন্তত ১১০ জন ভেতরে আটকা পড়েছেন।
কেন্টাকিতে টর্নেডোর আঘাতের ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। রাজ্যে টর্নেডোর আঘাতের পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বেসিয়ার বলেছেন, ‘কেন্টাকির ইতিহাসে এটি অন্যতম এক কঠিন রাত।’
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে শুক্রবার রাতে শক্তিশালী টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এতে শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও অনেকেই হতাহত হয়েছেন। আরকানসাসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নোয়া স্টর্ম প্রডিকশন সেন্টার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্য—আরকানসাস, ইলিনয়স, কেন্টাকি, মিসৌরি এবং টেনেসিতে শুক্রবার অন্তত ২৪টি টর্নেডোর আঘাত হানার রেকর্ড হয়েছে।
আরকানসাসে টর্নেডোর আঘাতে দু’জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় আরও পাঁচজনের প্রাণ গেছে টর্নেডোর আঘাতে। ইলিনয়ে অনলাইন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান আমাজনের একটি গুদামের ভবন ধসে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেখানে জরুরি সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। হঠাৎ সৃষ্ট টর্নেডোর আঘাতে টেনেসিতে তিনজন এবং মিসৌরিতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: স্কাই নিউজ, সিএনএন।