অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া পরমাণু চুক্তিতে আবারও ফিরে আসতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। আজ সোমবার (১৫ মার্চ) ইউরোপীয় পলিসি সেন্টার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি এ কথা জানান।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেহরান পরমাণু চুক্তিকে পুনরায় জীবিত করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, সামনেই ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে চুক্তির সমস্যা সমাধান না হলে এটি পিছিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পৌঁছাবে।

তেহরানের দীর্ঘদিনের দাবি, চুক্তিতে ফিরতে হলে ওয়াশিংটনকে আগে ইরানের ওপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, যোগ করেন তিনি।

২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তেহরানও বেশ কয়েকবার চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু ওয়াশিংটন ও তেহরান দুই পক্ষই একে অপরকে শর্ত দিয়ে রাখছে। উভয়ের দাবি, অন্যকে আগে পদক্ষেপ নিতে হবে।

মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, ইউরোপীয়ানরা আপোষ করতে অভ্যস্থ। কিন্তু ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র সেটা করতে রাজি নয়। মার্কিনীরা চাপিয়ে দিতে অভ্যস্থ, আর আমরা প্রতিরোধ করতে। সুতরাং এখন আমাদের উভয়েরই আপোষ করার সময় এসেছে এবং চুক্তিতে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায়, দুই পক্ষকেই নিজস্ব পথে চলতে হবে।

আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রাথমিক আলোচনায় বসার কোনো কারণ নেই। কারণ, ওয়াশিংটন অযৌক্তিক দাবি করছে।