অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। লাখ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দিতে প্রস্তুত। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের জন্য বিভিন্ন ভবন এবং স্থানীয় স্কুলগুলোতে কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
৬৫০টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য দেশটিতে ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোটদানে প্রস্তত রয়েছেন। যারা নির্বাচিত হবেন তারা ‘হাউস অব কমন্সে’ এ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এ নির্বাচনের ফলাফল আজ রাতে অবথা শুক্রবার (০৫ জুলাই) সকালে ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩২৬ আসনে জিততে হবে।
এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি। তবে নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টি।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। শেষ দিনের প্রচারণায় তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুজনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায় তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে তারা হলো ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি। ৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী সুনাক। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই এই প্রথমবার কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’-এর প্রধান ছিলেন স্টারমার। পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান