বিনোদন ডেস্ক : ম্যাটেরিয়াল গার্লখ্যাত ম্যাডোনা। বয়স ৬৪। ক্রমশ বার্ধক্যের দিকে যাচ্ছেন। কিন্তু যতই বয়স বাড়ছে, ততই নগ্নতার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার। সম্প্রতি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। কয়েকদিন আগে খোলামেলা ছবি নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে তোলপাড় করে দেন। সোমবার সেই খোলামেলা ছবিকে অতিক্রম করেছেন। আরও খোলামেলা ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তার শরীরের উপরের অংশে কোনো পোশাক নেই। পোশাক নেই বলতে অন্তর্বাসটুকুও নেই।

পরনে সামান্য একচিলতে অ্যান্ডিস। এমনিভাবে পোজ দিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন। ৩ হাজার ডলার দামের ব্যালেনসিয়াগা ব্রান্ডের হ্যান্ডব্যাগ সামনে ধরে কোনো রকমে মর্যাদা রক্ষা করেছেন। তারপরও যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তা শালীনতার মাত্রাকে লঙ্ঘন করেছে। বৃটিশ পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে, তার এই ছবি ইন্সটাগ্রামের নগ্নতাবিরোধী নীতির লঙ্ঘন হবে। এর আগেও ম্যাডোনার একাউন্টকে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। ছবি পোস্ট করার পর ‘৫০ সেন্ট’ নামে একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী ক্ষেপেছেন। তিনি ম্যাডোনার নগ্ন ভিডিও, ছবির সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তাকে ‘গ্রান্ডমা’ বা (দাদিমা বা নানী) হিসেবে অভিহিত করেছেন। এরও জবাব দিয়েছেন ম্যাডোনা। বলেছেন, তাকে নিয়ে কেউ যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল না করেন।
বৃটিশ মিডিয়া লিখেছে, ম্যাডোনা সোমবার যে ছবি পোস্ট করেছেন তাতে তার চুল দেখা যায় কমলা রঙের। তা কাঁধের ওপর দিয়ে নামিয়ে দিয়েছেন। বরই রঙের লিপস্টিক পরেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে নিজের বাসায় মার্বেল পাথরের বাথরুমে বসে এসব ছবি তুলেছেন ‘দ্য এভিটা’ ছবির এই অভিনেত্রী। ছবি যাতে পরিষ্কার আসে সেজন্য ব্যবহার করেছেন পিছনে কালো পর্দা এবং বিশেষ লাইট। ১৯৮০’র দশকের টপ চার্ট এই গায়িকা এ ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘(ক্যাট ইমোজি) ইন দ্য ব্যাগ’। তার হাতে যে পার্স বা হ্যান্ডব্যাগ তা হলুদ এবং কালো রঙের। এটি ব্যালেনসিয়াগা ফ্যাশন হাউজের। এক সময় এই ব্রান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কিম কারদাশিয়ান। ব্যাগটির দাম ৩১০০ ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে- এটি হলো ‘আওয়ারগ্লাস স্মল হ্যান্ডব্যাগ। এতে আছে হলুদ এবং কালো টেপ’।

এর আগে মে মাসে ম্যাডোনার লাইভে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইন্সটাগ্রাম। কারণ, ইন্সটাগ্রামের নগ্নতাবিরোধী নীতি অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করছিলেন তিনি। পোস্ট করছিলেন নিজের নগ্ন ছবি। তখন ম্যাডোনা ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। কারণ ইন্সটাগ্রামে তখন তার অনুসারীর সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ। তাদের সঙ্গে তিনি লাইভে যেতে পারছিলেন না। কোম্পানির গাইডলাইন থেকে বলা হচ্ছিল, তিনি অবশিষ্ট ব্যবহারকারীর মাঝে নগ্নতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ওই সময়ে একটি ভিডিও শেয়ার দিয়ে তিনি জানতে পারেন তাকে ব্লক করে দিয়েছে ইন্সটাগ্রাম। নগ্নতার এই অভিযোগের জবাবে ম্যাডোনা ঘোষণা দেন- আমার এই জীবনে অনেক বেশি পোশাক কখনো পরিনি।
নিজের ‘স্টোরিজে’ ম্যাডোনা একটি ভিডিও পোস্ট করে গত সপ্তাহে প্রশ্ন করেন তাকে কি দোষ দেয়া হবে, কারণ এই ভিডিওতে গ্রাফিক ডিজিটাল স্ক্যান করে তার গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করা হয়েছে। ওই ছবিতে আরও ভয়াবহতা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরেই ম্যাডোনা বলেছেন, তার মুখে কথা নেই। তিনি আরও বলেন, তারা কি কারণে আমার একাউন্ট বন্ধ করছে সে বিষয়ে কোনো কারণ না দেখিয়েই রহস্যময় কারণে বন্ধ করে দিচ্ছে। বিষয়টি উদ্ভট। এটা যেন একটি কম্পিউটারের ভিতর ব্যুরোক্রেসি। আমি সেন্সরশিপ মেনে চলবো।

ওদিকে সিন পেনের সাবেক স্ত্রী ম্যাডোনা রোববার বিকেলে তার ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। এর উপরে লিখেছেন- ‘স্টপ বুলিয়িং ম্যাডোনা ফর এনজয়িং হার লাইফ’। অর্থাৎ ম্যাডোনাকে তার জীবন উপভোগ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা বন্ধ করুন। এরপরই তাকে দেখা যায় নিজের গান ‘গিভ ইট টু মি’র সঙ্গে ঠোঁট মেলাতে।
৯ই নভেম্বরে ‘৫০ সেন্ট’ নামের একজন ব্যবহারকারী ম্যাডোনার কড়া সমালোচনা করেন। তার আসল নাম হলো কার্টিজ জেমস তৃতীয় জ্যাকসন। এরও কড়া জবাব দেন ম্যাডোনা। তিনি টিকটকে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি লেস ব্রা পরেন। কোমরে অনেকটা উঠানো একটি অন্তর্বাস শুধু পরেন। তারপর ক্যামেরার দিকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ঘুরে ঘুরে নাচেন। গত বছর ডিসেম্বরে ‘৫০ সেন্ট’কে ইন্সটাগ্রামে এক হাত নিয়েছেন ম্যাডোনা। যে যত যা-ই বলেন, কিছুতেই থামছেন না ম্যাডোনা। তিনি দিনকে দিন আরো খোলামেলা হয়ে উঠছেন। অনেকেই বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিমরতিতে ধরেছে তাকে।