অনলাইন ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আজ শনিবার শুরু হয় পাবলিক পলিসি নির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগের বৈঠক। সে বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাইক বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। মাইক বন্ধ করায় বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে চলা বৈঠকে বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বেশি সময় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যেসব রাজ্যে বিজেপির বিরোধীদল ক্ষমতায়, সেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কম সময় দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
মমতা অভিযোগ করেন, আজ নীতি আয়োগের বৈঠকে হলো, তাতে শুধু তাকে অপমান করা হয়নি। অপমান করা হয়েছে সমস্ত বিরোধীশাসিত রাজ্যকে। আর ফের প্রমাণিত হয়ে গেল যে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে।
পশ্চিমবঙ্গ ‘বঞ্চনা’র শিকার অভিযোগ করেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে দেওয়া নিজের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের (কেন্দ্রীয় সরকার) আমি পরিষ্কারভাবে বলছি যে বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন। আপনারা বাংলার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনারা কোনো বিরোধী দলের রাজ্যকে কোনো সুযোগ দেন না। তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের অর্থ বন্ধ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বন্ধ। সমস্ত কিছু বন্ধ করে রেখেছেন। এমনকি খাদ্যের ভর্তুকির টাকাও দেন না।’
মমতা দাবি করেন, তিনি যখন এসব ‘বঞ্চনা’ নিয়ে কথা বলছিলেন তখন তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্য তিনি বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের সামনে রীতিমতো ক্ষোভের সুরে মমতা বলেন, ‘একটুখানি বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমি বললাম যে কেন বন্ধ করলেন?’
বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি, সেটার জন্য আপনাদের (বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার) আনন্দিত বোধ করা উচিত। সেটা না করে নিজের দলের (মুখ্যমন্ত্রীদের) বেশি সময় দিচ্ছেন। বিরোধীদের মধ্যে শুধুমাত্র আমি আছি। আর আপনারা আমার মাইক বন্ধ করে দিলেন! আপনাদের এই বঞ্চনা আমি মানি না। তাই মনে রাখবেন, আমি চললাম।’